অপহরণের দুই দিন পরও মুক্তি পাননি ২৬ শ্রমিক

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:৩৫

বান্দরবানের লামা থেকে অপহৃত ২৬ রাবার শ্রমিককে অপহরণের পর দুই দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও মুক্তি দেয়নি সন্ত্রাসীরা। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গভীর রা‌তে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের মুরুং ঝিরিপাড়া থেকে তাদের অপহরণ করা হয়।
অপহৃতরা হ‌লেন- ফারুক (২৬), আইয়ুব আলী (২৬), সিদ্দিক (৪০), আব্দুল খালেক (২০), আব্দুল মাজেদ (১৭), মনিরুল ইসলাম (৩০), জিয়াউর রহমান (৪৫), মোবারক (২৫), হারুন (৩০), রমিজ উদ্দিন (৩০), সৈয়দ নুর (২৮), কায়ছার (৩৮), মনির হোসেন (৩৫), ইমরান (১৭), মঞ্জর (৩০), আফসার আলী (২৫), খাইরুল আমিন (৩০), আবু বক্কর (২৯), আব্দুর রাজ্জাক (৩৩), মবিন (২৫)। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।
তাদেরকে ফোরকান আহমেদ (৪৮) ও শাহজাহানের যৌথ মালিকানাধীন মুরংছড়ি রাবার বাগান, নুর মোহাম্মদ রাবার কোম্পানি, আহসান উল্লাহ রাবার কোম্পানি, হুমায়ুন রাবার কোম্পানি, সোনামিয়া রাবার কোম্পানি, ও আবুল কালাম রাবার কোম্পানির বাগান থেকে অপহরণ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার গভীর রাতে লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালি ইউনিয়নের মুরুং ঝিরিপাড়া থেকে ২৬ জন রাবার শ্রমিককে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
তবে কে বা কারা অপহরণের সঙ্গে জড়িত তা না জানলেও ধারনা করা হচ্ছে স্থানীয় কোনও সশস্ত্র গোষ্ঠী অপহরণের সঙ্গে জড়িত। এদিকে খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তা‌দের উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। তা‌দের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ চাওয়া হ‌য়ে‌ছে বলে জানান স্থানীয়রা। পুলিশ ২২ শ্রমিক অপহরণের কথা জানালেও স্থানীয়‌দের ম‌তে সর্বমোট ২৬ জন অপহরণের শিকার হ‌য়ে‌ছেন। এদিকে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০ হাজার ক‌রে মুক্তিপণ চাওয়া হ‌য়ে‌ছে বলেও জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে মুরংছড়ি রাবার বাগানের মালিক শাহজাহান বলেন, আমার বাগান থেকে ১২ শ্রমিক নি‌য়ে গেছে। তা‌দের প্রত্যেকজ‌নের জন্য ৫০ হাজার টাকা ক‌রে মোট ছয় লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হ‌য়ে‌ছে। ছয়‌টি রাবার বাগান থেকে ২৬ জন‌কে অপহরণ করা হ‌য়ে‌ছে।
লামা থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, শ্রমিক‌দের এখ‌নও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তা‌দের উদ্ধারে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাসদস্যরা অভিযান চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার সরই ইউনিয়নের লিংপুং এলাকা থেকে সাত শ্রমিককে অপহরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। পরে যৌথবাহিনীর অভিযানের মুখে তাদের ছেড়ে দেয়।