বাংলাদেশকে বিনিয়োগের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করতে চায় এনসিপি- এমন মন্তব্য করেছেন দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
তিনি বলেন, বড় বড় দেশগুলো যারা বাংলাদেশকে ইনভেস্টমেন্ট হাব হিসেবে বেছে নিয়েছে, তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে যে ভঙ্গুর করে দেওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য তারা রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি চেয়েছে। আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে সেই প্রতিশ্রুতি নিশ্চিত করেছি। একই সঙ্গে বলেছি, আগামীতে বাংলাদেশ বিনিয়োগের স্বর্গে পরিণত হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর এক হোটেলে বিনিয়োগ সম্মেলনে এনসিপির প্রতিনিধিদল আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি।
মাদরাসা শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যের বিনিয়োগকারীদের এ দেশের মাদরাসাগুলোর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছি। আরবি ভাষা জানা মাদরাসা ছাত্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশকে ৫০–এ উন্নীত করার কথা আমরা বলেছি। আমরা আরও বলেছি, আমাদের যে বার্ষিক এফডিআই ফ্লো এখন এক দশমিক ৩ বিলিয়ন, এটিকে আমরা ১৫ বিলিয়ন ডলারে রূপান্তরিত করবো।
বিনিয়োগকারীরা নবায়নযোগ্য শক্তি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, আমাদের কনট্রিবিউশনকে ৩০ শতাংশে উন্নীত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। বেকারত্ব কমিয়ে আনার ব্যাপারে কথা বলেছি। কৃষিপ্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য শক্তি, স্বাস্থ্যসেবা বিষয়গুলোতে আমরা জোর দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি এনসিপি সরকারে গেলে আমরা ওয়ান–স্টপ সল্যুশনে যাবো। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন করে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিতে তরুণ প্রজন্ম সহায়ক হবে।
বিরোধীদলে গেলে এনসিপি হরতাল–অবরোধ ডেকে ব্যবসার পরিবেশ বিঘ্নিত করবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, সরকার এবং বিরোধীদল মিলেই রাষ্ট্র। আমরা বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করেছি রাজনৈতিক দল হিসেবে সবসময় ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করবো।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম, যুগ্ম সদস্যসচিব সাগুফতা বুশরা মিশমা, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল ফয়সাল প্রমুখ।