আ’লীগের পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে

আখতার হোসেন
ডেস্ক রিপোর্ট
  ১২ মে ২০২৫, ২২:৫৫
আপডেট  : ১২ মে ২০২৫, ২৩:০১

আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণকারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছর বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ তৈরি করেছিল। আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসর যারা অংশগ্রহণ করেছিল তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে দেশের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে।
রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারির পর সোমবার (১২ মে) রাতে বাংলামোটরে দলটির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।
আখতার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার দাবিতে এনসিপি সারাদেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম- গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের জনগণ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিল, সেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে আইনগত রূপদান করতে হবে। আজ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আজ পরিপত্র এসেছে। গণহত্যার দায়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ এবং তাদের সব সহযোগী সংগঠনের সব ধরনের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির পক্ষ থেকে আমরা সেই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করছি। 
তিনি বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যেভাবে ঢিমেতালে চলছে, তা আওয়ামী লীগের বিচার করার সক্ষমতা রাখে না। আমরা সরকারের কাছে আহ্বান রাখতে চাই, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে কর্মক্ষম করতে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার অন্তর্বর্তী সরকার তা গ্রহণ করবে।
এনসিপির এ নেতা আরও বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র জারির জন্য সরকার ৩০ কর্মদিবস সময় নিয়েছে। এই ৩০ কর্মদিবস যদি ৩১ কর্মদিবস হয়- দেশের জনগণ আবারও রাজপথে নেমে আসবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে জানিয়ে দিতে চাই, যেখানে আওয়ামী লীগের দোসর পাওয়া যাবে সেখানে প্রতিহত করা হবে। ধরে নিয়ে এসে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে, জেলখানায় পাঠানো হবে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের আমরা এক বিন্দু ছাড় দিতে প্রস্তুত নই।
আখতার হোসেন বলেন, অভ্যুত্থানের পরেও ফ্যাসিবাদী, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের রাজপথে ঝটিকা মিছিল করার সাহস দেখিয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যারা পেতাত্মা-দোসর, গণহত্যাকারী তাদের বিচার দৃশ্যমান হতে দেখিনি। এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দোসররা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সাহস পায়, এই বিষয়টি আমরা নিন্দার সঙ্গে স্মরণ করছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, সরকার যে পরিপত্র জারি করেছে সেই পরিপত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের যেখানেই পাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেফতার করবে।