সিলেট থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট উড়ে গেছে। এতে সিলেটের ৩৫০ ও ঢাকার ৫৮ জন হজযাত্রী রয়েছেন। আর সাধারণ যাত্রী ছিলেন ৯ জন। সব মিলিয়ে ফ্লাইটটিতে যাত্রী ছিলেন ৪১৭ জন।
বুধবার (১৪ মে) বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ২৩৭ ফ্লাইটটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।
এই ফ্লাইটটি সরাসরি মদিনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এটি বাংলাদেশ সময় ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে সৌদি আরবে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ বিমানের সিলেটের ম্যানেজার শাহনেওয়াজ মজুমদার বলেন, বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। প্রথম ফ্লাইটে মোট ৪১৭ জন যাত্রী ছিলেন। এরমধ্যে ৪০৮ জন ছিলেন হজযাত্রী।
এবছর সিলেট থেকে হজে যাচ্ছেন দুই হাজার ৬৩৯ জন। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাঁচটি ফ্লাইটে সরাসরি সৌদি যাবেন তারা।
এদিকে, হজের প্রথম ফ্লাইট উড্ডয়নের আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশ বিমানের জেলা ব্যবস্থাপক মো. শাহনেওয়াজ মজুমদারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শফিউল আলম।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ফ্লাইট সরাসরি মদিনায় যাচ্ছে। বাকি চারটি ফ্লাইট ওসমানী বিমানবন্দর থেকে জেদ্দায় যাবে। চারটি ফ্লাইটের মধ্যে দ্বিতীয় ফ্লাইট যাবে ২৩ মে বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে ( বিজি-২৩৫), তৃতীয় ফ্লাইট যাবে ২৫ মে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে (বিজি-৩৩১), চতুর্থ ফ্লাইট যাবে ২৬ মে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে (বিজি-২৩৫) এবং সবশেষ ও পঞ্চম ফ্লাইট যাবে ২৯ মে বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে (বিজি-২৩৫)।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, এবছর সরকারিভাবে পাঁচ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি মাধ্যমে ৮১ হাজার ৯০০ জন্য হজে যাবেন। সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রীদের নিবন্ধনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সিলেটের তিনটি শীর্ষ এজেন্সির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে।
এবছর হজযাত্রী পরিবহনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হজের আগে ১১৮টি এবং হজের পরে ১০৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে। হাজিদের নিয়ে প্রথম ফিরতি ফ্লাইট আসবে ১০ জুন এবং শেষ ফিরতি ফ্লাইট আসবে ১০ জুলাই।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক মো. হাফিজ আহমদ জানান, এই ফ্লাইটে যাত্রীর ধারণ ক্ষমতা ছিল ৪১৯ জন। আজ ৪১৭ জন যাচ্ছেন। আমরা প্রত্যেক যাত্রীকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। যাত্রীরা সন্তুষ্ট ছিলেন।