জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) পরিচালকসহ আট কর্মকর্তাকে বদলি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরিচালক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং উপ-পরিচালক পদের এই আট কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জনবল ব্যবস্থাপনা শাখার সহকারী সচিব মো. শহীদুর রহমানের সই করা আলাদা আলাদা পাঁচটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে এসব বদলি করা হয়।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক মো. আব্দুল হালিম খানকে বদলি করে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) পরিচালক করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. রফিকুল ইসলামকে বরিশালের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা করা হয়েছে। বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমানকে বদলি করে নির্বাচন কমিশনের সাধারণ সেবা শাখার উপসচিব করা হয়েছে। সাধারণ সেবা শাখার উপসচিব মো. সাইফুল ইসলামকে বদলি করা হয়েছে এনআইডির পরিচালক হিসেবে।
প্রজ্ঞাপনে ইসি জানায়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের উপ-পরিচালক মো. রশিদ মিয়াকে বদলি করে কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামকে এনআইডির উপ-পরিচালক এবং এনআইডির উপ-পরিচালক মো. তকদির আহমেদকে বদিল করে মাদারীপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনে উপ-সচিব (চলতি দায়িত্ব) সালাহউদ্দীন আহমদকে এনআইডির উপ-পরিচালক করা হয়েছে।
এসব কর্মকর্তার মধ্যে উপ-পরিচালক মো. রশিদ মিয়া এবং ইটিআইয়ের উপ-পরিচালক আবুল কাশেম মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামকে এর আগে বদলি করা হলেও তারা নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি। গত বছরের ১৪ অক্টোবর মো. রশিদ মিয়াকে বদলি করে কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা করা হয়। এছাড়া নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের আবুল কাশেম মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামকে বদলি করে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা করা হয়। কিন্তু তারা ইসির ওই আদেশ কর্ণপাত না করে ঢাকায় থেকে যান।
বদলি প্রসঙ্গে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এটা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। আমরা যাদের বদলি করেছি, তা কার্যকর হবে। প্রশাসনিক ব্যবস্থার কারণেই এসব কর্মকর্তা বদলি করা হয়েছে এবং এটা বাস্তবায়নের দায়িত্বটাও আমাদের।