সিনহা হত্যাকাণ্ড

শুনানি চলছে, ৭ দিনে প্রদীপের ফাঁসি কার্যকরের সংবাদটি সঠিক নয়

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৭ মে ২০২৫, ২২:৫৬

টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিলের ওপর শুনানি অব্যাহতভাবে চলছে। এ বিষয়ে গত ২৩ মে শুনানি শুরু হয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৪ দিন শুনানি হয়েছে। এদিকে সাত দিনের মধ্যে সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের আদেশ নিয়ে যে সংবাদ ছড়িয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার  এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আপিলের শুনানিতে বিচারিক (নিম্ন) আদালতের রায়ের অংশ পড়ার সময় হয়তো কেউ না বুঝে সাত দিনের মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ (বরখাস্ত) ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের সংবাদ করেন। এটা সঠিক খবর নয়। এখন তো মামলায় পেপারবুক থেকে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ শুনানি করা হচ্ছে। রায়ের তো প্রশ্নই আসে না।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মুস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি সগীর হোসেন লিয়নের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তী শুনানির জন্য রোববার (১৮ মে) দিন ঠিক করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
শুনানিতে পেপারবুক থেকে পর্যায়ক্রমে আসামি ও সাক্ষীদের জবানবন্দি উপস্থাপনের পর অভিযোগ গঠনের আদেশের অংশ এবং রায়ের অংশ বিশেষ উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এ মামলায় বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের পেপারবুক থেকে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসীম সরকার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাবণী আক্তার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সুমাইয়া বিনতে আজিজ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তানভীর প্রধান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াস উদ্দিন গাজী শুনানিতে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী শুনানি করেননি। তবে এই মামলায় আসামি পক্ষে আছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও বিচারপতি মুনসুরুল হক চৌধুরী।
এছাড়া এই গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান রয়েছেন। শুনানি শুরুর দিন তিনি আদালতে শুনানি শুরু করেছিলেন উল্লেখ করে এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, এর আগে গত ২৩ মে শুনানির শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত ১৪ দিন শুনানি হয়েছে। উচ্চ আদালত প্রতি কার্যদিবসে শুনানি অব্যাহতভাবে চলছে। এখন পর্যন্ত মামলায় এফআইআর, চার্জশিট, সাক্ষী, জেরা, পেপারবুক থেকে আসামি ও সাক্ষীদের ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি উপস্থাপন করা হয়। এরপর অভিযোগ গঠনের আদেশের অংশবিশেষ পড়ে শোনানো হয়। ওইসব শেষ করে বিচারিক আদালতের রায়ের অংশ পাঠ চলছে। এখন রায়ের প্রায় অর্ধেক শেষ। আগামী দিনে রায়ের অংশ পাঠ শেষে মামলায় রাষ্ট্র ও আসামি উভয়পক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুরু হবে বলে জানা গেছে।