আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রস্তাবের পর এ ইঙ্গিত দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বহুল আলোচিত বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়ে আভাস দেওয়া হয়।
তবে এ বৈঠক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে বৈঠকটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও কিছু হতাশার কথাও তুলে ধরেন।
তিনি লেখেন, ‘জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে এমন সংলাপ ও সম্পর্ক অবশ্যই কাম্য। তবে দুঃখজনকভাবে এ বৈঠকে নির্বাচন আয়োজনের সময় নিয়ে যতটা আলোচনা হয়েছে, তার তুলনায় বিচার ও সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো উপেক্ষিতই থেকে গেছে।’
হাসনাতের এই পোস্টে মন্তব্য করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী। তিনি লিখেন, ‘ভোটে জেতা এত সহজ? মেম্বার ইলেকশন করলেও তো জিততে পারবা না। আগে মেম্বার ইলেকশনে জিতে দেখাও।’
এর জবাবে হাসনাত আব্দুল্লাহ পাল্টা মন্তব্য করেন, ‘আপনাদের সরকারকে আগে মেম্বার ইলেকশন আয়োজন করতে বলেন।’
বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে যেমন আলোচনা শুরু হয়েছে, তেমনি দলীয় অভ্যন্তরীণ বিদ্বেষ ও বিদ্রূপের প্রকাশও নতুন মাত্রা যোগ করেছে।