মিটফোর্ড হত‍্যাকাণ্ডে আনসার সদস্যদের দায় নেই, দাবি মহাপরিচালকের

ডেস্ক রিপোর্ট
  ১৩ জুলাই ২০২৫, ২২:২৫

পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আনসার সদস্যদের দায়িত্বে অবহেলার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ।
রোববার (১৩ জুলাই) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্দেশিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ওই সময় সেখানে কোনো আনসার সদস্য কর্তব্যরত ছিলেন না।
লোকবল সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুরো হাসপাতালের নিরাপত্তায় সর্বমোট ৮০ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত আছে। সাপ্তাহিক ছুটি ও শিফট অনুযায়ী একেক শিফটে মাত্র ৩০ জন আনসার সদস্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়োজিত থাকেন। দুপুর ২টার আগে গেটে এবং হাসপাতাল ভবনে আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করলেও দুপুর ২টার পর গেটে আর কোনো আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন না।
কোন আনসার সদস্য কখন কোথায় দায়িত্ব পালন করবেন তা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয় বিধায় সোহাগ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আনসার সদস্যদের ওপর দায় চাপানোর কোনো সুযোগ দেখছেন না তিনি।
এসময় আনসার মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ আক্ষেপ করে বলেন, শত শত মানুষ দাঁড়িয়ে ঘটনা দেখলেও বা ভিডিও করলেও কেউ আনসার ক্যাম্পে গিয়ে খবর পর্যন্ত দেয়নি। এমনকি মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেট এলাকায় কোনো সিসি ক্যামেরাও নেই বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে, সোহাগকে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হলো।
শনিবার (১২ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, ভাঙারি ব্যবসা এবং দোকানে কারা ব্যবসা করবে সেটা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগ ও যারা হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছেন তারা এ দ্বন্দ্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। তারা একসঙ্গে কিছুদিন ব্যবসা করেছেন। ব্যবসার লেনদেন নিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি হলে তারা বিবাদে লিপ্ত হন। এর ফলে হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হয়।