মাঠে এখন যে পরিমাণ সেনা সদস্য মোতায়েন আছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এর ৩ গুণ বেশি সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছেন মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘জাতিকে সর্বোচ্চ ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সেনাবাহিনী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।...ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে মাঠপর্যায়ে সেনাবাহিনী আরও ৩-৪ শতাংশ হবে। জাতিকে সর্বোচ্চ ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের ইনসাফ নিয়ে কোনো আপস করা হবে না বলেও জানিয়েছেন মো. হাকিমুজ্জামান। তিনি বলেন, গুম কমিশন করা হয়েছে। ...আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি, এখনো করে যাচ্ছি। একদম স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছি- সেনাবাহিনী বিচারের পক্ষে। যেটা বিচার হবে সেটার পক্ষে আমরা থাকবো। ইনসাফ নিয়ে কোনো কম্প্রোমাইজ হবে না।
তিনি জানান, ৩টি মামলায় ২৫ সেনা কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অবসরে আছেন ৯ জন, এলপিআরএ একজন, আর বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৫ জন। গত ৮ অক্টোবর চার্জশিট দাখিলের পর এলপিআর ও সার্ভিসে থাকা ১৬ জনকে সেনাসদরে সংযুক্ত করা হয়। তাদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে সেনাসদরে আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়। মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া বাকি ১৫ জন রেসপন্স করেছেন। তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তারা ফ্যামিলি থেকে ডিটাচ আছেন।
কবীর আহাম্মদের বিষয়ে মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, তিনি ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়েছেন। এরপর থেকে তিনি মিসিং।