
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন তারাই চায়, যারা এ সরকারের সঙ্গে জুলাই সনদকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে চায়। এ সরকারের যেমন নির্বাচন করার মেন্ডেট রয়েছে, তেমনি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মেন্ডেট রয়েছে। এ সরকারের আবার সংস্কারের মেন্ডেটও রয়েছে। তাই দ্রুত সংস্কার সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারিতে অবশ্যই নির্বাচন দিতে হবে।
রোববার (২ নভেম্বর) ভোলা জেলা পরিষদ হল রুমে জাতীয় নাগরিক কমিটির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, যারা জুলাই সনদ চায় না, তারা আসলে বাংলাদেশকে কোন দিকে নিতে চায়? তারা আসলে কিসের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেই বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষ জানতে চায়।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গেই ঐক্য করব, তাদেরই জোটবদ্ধ করব- যারা সংস্কারের পক্ষে, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক কাঠামোর দুর্বলতা উত্তরণে আমাদের সঙ্গে থাকবেন, তাদের নিয়েই আমাদের জোট হতে পারে।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, জুলাই সনদের বিষয়ে আমরা স্পষ্ট বলেছি, গণভোটের পাশাপাশি আদেশ হতে হবে। ওই আদেশ অবশ্যই ড. মুহাম্মদ ইউনূস কর্তৃক জারি করতে হবে। আমরা দেখছি একটি পক্ষ, যারা চায় চুপ্পু (রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু) এ জুলাই সনদের আদেশ দেবেন। চুপ্পুর কাছ থেকে যদি জুলাই সনদের সার্টিফিকেট নিতে হয়, আমাদের সবার উচিত হবে নদীতে ডুবে মারা যাওয়া।
ভোলায় ৫৬ জন শহীদ হয়েছেন উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, এদের পরিবার যদি শোনে তাদের সনদ নিতে হবে চুপ্পুর কাছ থেকে। তারা সবাই একজোটে আত্মহত্যা করবে। যারা জুলাই বিপ্লবে আহত হয়েছেন তারাও আত্মহত্যা করবেন। ইতিহাসের কী নির্মাম বাস্তবতা, চুপ্পুর হাত থেকে জুলাইয়ের সনদ নিতে হবে। এর চেয়ে দুঃখজনক ও পরিতাপের বিষয় আর কিছু নেই।
রাষ্ট্রপতি চুপ্পুকে ফ্যাসিবাদের সুপ্রিম লিডার উল্লেখ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, তার কাছ থেকে সনদ নিয়ে যারা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাদের উদ্দেশ্যকে আমরা সন্দেহ করি। এ ঘোষণাপত্র দেওয়ার কেবলমাত্র অধিকার রয়েছে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আসা ড. ইউনূসের।
আগামী নির্বাচনে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী পিআর থেকে সরে এসেছে।
জেলা এনসিপি সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান শরীফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- দলের বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, দলের দক্ষিণাঞ্চলীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মেসবাহ কামাল, দক্ষিণাঞ্চলীয় কেন্দ্রিয় সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল, দলের কেন্দ্রীয় সদস্য রফিকুল ইসলাম কনক, কেন্দ্রীয় সদস্য আবু সাঈদ মুসাসহ স্থানীয় নেতারা।