দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তদন্তহীন চুরি মামলার অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট
  ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৩:২৯


সাভারের আশুলিয়া থানায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চুরির মামলা করেছে অ্যাডভোকেট নাছরীন আক্তার (গাজী নাজ) নামে এক আইনজীবী। তবে সাংবাদিকদের অভিযোগ পুলিশ কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই মামলাটি রেকর্ড করেছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিকের সঙ্গে প্রতিবেদকের কথা হলে তারা অভিযোগ এ তোলেন। এর আগে রোববার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন ওই আইনজীবী।
দুই সাংবাদিক হলেন- আশুলিয়া পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার বাসিন্দা ও দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার আশুলিয়া প্রতিনিধি সফি সুমন এবং আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার বাসিন্দা ও বাংলাদেশ বুলেটিনের আশুলিয়া প্রতিনিধি আসলাম হাওলাদার।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, সাংবাদিক নাছরীন আক্তারের সঙ্গে পূর্ব থেকেই পরিচয় ছিলেন সাংবাদিক সফি সুমনের। সফি সুমন ওই আইনজীবীকে পছন্দ করতেন এবং ইমপ্রেস করার চেষ্টা করতেন। কিন্তু ওই আইনজীবী রাজি না হওয়ায় তাকে হুমকি ধামকি দিতেন। তবে শনিবার (১১ অক্টোবর) সকালে ৯টার দিকে ওই দুই সাংবাদিক তার চেম্বারে আসে। এ সময় সাংবাদিক আসলামের বিরুদ্ধে ৩টি আংটি ও গলার ১ ভরি ওজনের একটি চেইন ছিনতাই এবং সাংবাদিক সফি সুমন তাকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
সাংবাদিক সফি সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। কারণ সাম্প্রতিক আশুলিয়া থানার ওসি দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান করায় এ ধরনের মামলা দেওয়া হয়েছে আমাকেসহ আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
এ সময় সাংবাদিক আসলাম হাওলাদার বলেন, মামলাটি কোনো তদন্তই করা হয়নি। ওসি তার ক্ষোভের কারণে আমাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দিয়েছে। ঘটনায় প্রায় ২০ দিন পরে মামলা হয়েছে। আমাদের মূলত হয়রানী করার জন্যই মিথ্যা ও তদন্ত বিহীন মামলা দেওয়া হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
এ ঘটনায় মামলার বাদী আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাছরীন আক্তারের (গাজী নাজ) সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোর্টে আমি। এ বিষয়ে আমি এখন কথা বলতে পারব না।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) আজগর হোসেনের কাছে মামলা তদন্ত করে নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটি যেহেতু তদন্তাধীন তাই আমরা কিছু বলতে পারব না। এ বিষয়ে আমি সরি। তবে মামলাটি আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম স্যার দেখছেন।
তবে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম, ট্রাফিক ও অপস) আরাফাতুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।