বরগুনায় ছাত্রলীগের ওপর পুলিশি লাঠিচার্জ

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম মূলধারার নয়, দাবি এমপির

এমপির বিরুদ্ধে গিয়ে পুলিশকে ধন্যবাদ দিলো ছাত্রলীগ
নিজস্ব সংবাদদাতা
  ১৬ আগস্ট ২০২২, ১৪:০৭
সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সঙ্গে হাত তুলে কথা বলছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলী (নীল টি-শার্ট পরিহিত))

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীর বরখাস্তসহ বিচারের দাবি জানিয়েছেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। সোমবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বরগুনা প্রেস ক্লাব মিলোনায়তনে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ দাবি জানান।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশের গাড়ি ভাঙার বিচার ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলার পরও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলী তার কথার কোনো তোয়াক্কা করেননি এবং তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন।
লাঠিচার্জের ঘটনাটি পুলিশের পরিকল্পিত দাবি করে তিনি আরো বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলী মূল ধারার বাইরের লোক, তাই ছাত্রলীগ সদস্যদের পিটিয়েছেন।
এরইমধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে বরখস্ত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজিকে বলেছেন বলেও জানান তিনি।
এমপির বিরুদ্ধে গিয়ে পুলিশকে ধন্যবাদ দিলো ছাত্রলীগ : বরগুনায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মহররম আলীর বরখস্ত দাবি করলেও সংবাদ সম্মেলন করে মহররম আলীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক।


সোমবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যার পর বরগুনা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য শম্ভু মহররম আলীর বরখস্ত দাবি করার কিছুক্ষণ পরই পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগ সভাপতি ও সম্পাদক।
এদিকে এর কিছুক্ষণ পরই সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির রেজা জেলা পুলিশকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, শোক দিবসের আলোচন সভায় কোনো ছাত্রলীগ সদস্যকে পুলিশ লাঠিচার্জ করেনি। যাদেরকে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে তারা ছাত্রলীগের শোক মিছিলে ইট পাটকেল মেরেছে।
১৫ আগস্ট সোমবার সকালে বরগুনা শিল্পকলার সামনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদবঞ্চিত সবুজ মোল্লার সমর্থকদের সঙ্গে সভাপতি পদপ্রাপ্ত রেজাউল কবির রেজার সমর্থকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় তাদের ছোড়া ইটে পুলিশের গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। পরে রেজা সমর্থকরা পুলিশের ধাওয়া খেয়ে সরে পড়ে। তবে শিল্পকলার ভেতরে থাকা সবুজ মোল্লার সমর্থকদের সংসদ সদস্য শম্ভুর সামনে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।