রেমিট্যান্সের গতি নিম্নমূখী

ডেস্ক রিপোর্ট
  ৩০ জুলাই ২০২৪, ১১:৪৫

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে ব্যাংক বন্ধ ছিল। বন্ধ ছিল ইন্টারনেটও। এমন পরিস্থিতিতে দেশে রেমিট্যান্স আসা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় তা নেমে এসেছে অর্ধেকে। এসবের প্রভাবে ২১ থেকে ২৭ জুলাই রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। তথ্য অনুযায়ী, চলতি জুলাই মাসে ২৭ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার। এর মধ্যে প্রথম ১৩ দিনে আসে ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং ১৪ থেকে ২০ জুলাই ৭ দিনে আসে ৪৫ কোটি ৭০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর পরের সপ্তাহ অর্থাৎ ২১ থেকে ২৭ জুলাই তা নেমে দাঁড়ায় ১৩ কোটি ৮০ লাখ ৬০ হাজার ডলারে।
এ হিসাব অনুযায়ী জুলাইয়ের ২৭ দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৫ কোটি ৪০ লাখ ৫৪ হাজার ৭৪ ডলার। এটি আগের মাস জুনের চেয়ে কম। জুনে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫৪ কোটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ঐ মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় ছিল ৮ কোটি ৪৭ লাখ ২১ হাজার ৬৬৬ মার্কিন ডলার।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে সারা দেশে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রবাসীরা কোনো
রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেননি।

এরই প্রভাব পড়ে পুরো মাসের প্রবাসী আয়ে। প্রবাসীরা এক ডলারের বিপরীতে ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা পেয়ে থাকেন। এর সঙ্গে প্রণোদনা পান ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে। দেশে দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলছে ডলারসংকট। পরিস্থিতির উন্নতি না হয়ে ধীরে ধীরে আরো অবনতি হচ্ছে। রেমিট্যান্সে এই অবস্থা থেকে উন্নতির জন্য বেশি দরে রেমিট্যান্স কিনছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কয়েকটি ব্যাংককে মৌখিকভাবে বেশি দরে রেমিট্যান্সের ডলার কেনার এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী করা তোলা।
'ক্রলিং পেগ' চালুর পর ব্যাংকগুলোতে ডলার রেট সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা হলেও বেশ কয়েকটি ব্যাংক রেমিট্যান্স কেনার রেট ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা ৭০ পয়সা অফার করছে বলে জানা গেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলমান অস্থির পরিস্থিতির কারণে রেমিট্যান্স কমে যেতে পারে। তবে এটা যদি দীর্ঘ মেয়াদে কমতে থাকে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। কারণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হলে অর্থ পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। যত দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে ততটাই আস্থা তৈরি হবে। রেমিট্যান্সও বাড়বে।