ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানি খুলে ঋণ দুর্নীতি তদন্তের নির্দেশ

৩ ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১৩:০১

ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানি খুলে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ অনুমোদনের সঙ্গে জড়িত তিনটি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী চার মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে এই তালিকা দাখিল করতে বলা হয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো- ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক। গতকাল রবিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত এই আদেশ দেন। এ ছাড়া এই ঋণ অনুমোদনের ঘটনা অনুসন্ধানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ, দুদক ও সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেছেন আদালত। রুলে ওই তিন ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নেওয়া এবং এস আলম গ্রুপের ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। রুলে ঋণ বিতরণের অনিয়মের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। আগামী বছরের ৫ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালতে দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ২৪
নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ইসলামী ব্যাংকে ‘ভয়ংকর নভেম্বর’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে দুই কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল) থেকে দুই হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে একটি অসাধু চক্র।
এদিকে গত ২৯ নভেম্বর নিউ এইজ পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপ একাই ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এই প্রতিবেদনটিও আদালত নজরে নিয়েছেন।