বিএনপির সমাবেশের আগে রাজধানীর বিভিন্ন রাজপথ এবং অলিগলি নিজেদের দখলে রেখেছেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা। আজ শনিবার সকাল থেকে দলবেঁধে বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নেয় ক্ষমতাসীনরা।
গত কয়েকদিনের মতো আজও প্রায় প্রতিটি থানা-ওয়ার্ডে মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। পিকআপ ভ্যান এবং মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়াও দেন তারা। ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘বিএনপির দালালরা হুঁশিয়ার, সাবধান’- এসব নানা স্লোগান দিতে শোনা যায় তাদের।
আজ সকাল থেকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মহড়ার শুরু করে। বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ মোকাবিলায় আজ শনিবার ভোর থেকেই রাজধানীর ডেমরা-যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, উত্তরা-আজমপুর-বিমানবন্দর, সদরঘাট-সোয়ারীঘাট-বাবুপুরা ব্রিজ, গাবতলী-আমিনবাজার, কমলাপুর রেলস্টেশন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার প্রবেশমুখ, ফার্মগেট, মহাখালী, আশুলিয়া, আবদুল্লাপুর এলাকা ও তুরাগ থানা পয়েন্টে পাহারা দেওয়ার নির্দেশ আগে থেকেই দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর থেকেই এই পাহারা আরও জোরদার করা হয়েছে। তবে গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এলাকা ভিত্তিক মহড়া দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ১২৯টি ওয়ার্ড এবং ৫০টি থানা এলাকায় অবস্থান নিচ্ছেন দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। আর মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ৭৫টি ওয়ার্ড ও ২৪টি থানা আর উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ৫৪টি ওয়ার্ড ও ২৬টি থানায় দলের নেতাকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে সর্তক অবস্থায় রয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের থানাগুলোর সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা তাদেরকে সমন্বয় করছেন। ডেমরার প্রবেশপথ সুলতানা কামাল সেতুর পাশে অবস্থান নিয়েছেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল।