নিউ জার্সির আটলান্টিক সিটি হাইস্কুলে দ্বাদশ গ্রেডের সমাপনী পরীক্ষায় তাক লাগানো ফল করেছে জমজ দুই ভাই ইশতিয়াক হোসাইন ও ইসরাক হাসান। ইশতিয়াক হয়েছেন দ্বিতীয়, আর ইসরাক চতুর্থ। দুই ভাইয়ের এই কৃতিত্বে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটি।
এই অসাধারণ সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে ইশতিয়াক হোসাইন ফুলব্রাইট বৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইসরাক হাসানও ফুলব্রাইট বৃত্তিতে পড়বেন নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে।
২০০৬ সালে জন্ম ইশতিয়াক ও ইসরাকের। বাংলাদেশ থেকে ২০০৯ সালে পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রে যান তাঁরা। তাঁদের গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের নরসিংদী সদরে। বাবা ইকবাল হোসাইন ও মা জিনাত পারভিন।
ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি নানা সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল দুই ভাই। অষ্টম গ্রেডে তাঁরা দুজনেই স্কুলের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী (ভ্যালেডিকটোরিয়ান) নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে মা–কেই তাঁরা এগিয়ে রাখেন।
ভবিষ্যতে ইশতিয়াক হতে চান ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, আর ইসরাকের স্বপ্ন ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট হওয়া। তবে পেশাগত সাফল্যের চেয়েও বেশি গুরুত্ব দেন মানুষের কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত করতে।
দুই ভাই জানান, তাঁদের এই কৃতিত্বের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান মা–বাবার। তাঁরা বলেন, ‘ভালো ফল করতে হলে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। নিয়মিত পড়াশোনা করতে হয়। হোমওয়ার্ক ফেলে রাখলে হবে না। প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন শেষ করতে হবে। শিক্ষকদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখতে হবে। কারণ, তাঁদের সুপারিশ–পত্র ভালো কলেজে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দুই ভাইয়ের পরামর্শ—নিজেকে গড়ে তুলতে হলে শৃঙ্খলা, পরিকল্পনা ও অধ্যবসায় সবচেয়ে জরুরি।