মালয়েশিয়ার ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটির পর এবার বাংলাদেশে শাখা ক্যাম্পাস অথবা পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় চালু করতে চায় চীনের আইএনটিআই বিশ্ববিদ্যালয়।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এমন প্রস্তাব দেন চীনভিত্তিক আইএনটিআই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল।
ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত এ সভায় দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তদারককারী প্রতিষ্ঠানটির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাইদুর রহমান ও সচিব ড. মো. ফখরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আইএনটিআই ইউনিভার্সিটির টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট ড. মোস্তাক আহমেদ। প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- হোপ এডুকেশন গ্রুপ এবং আইএনটিআই ইউনিভার্সিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স হেড পেং ল্যান এবং হোপ এডুকেশন গ্রুপের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক পরিচালক গু জিনহুয়া।
সভায় ড. মোস্তাক আহমেদ বলেন, চায়না, হ্যাঙ্গেরি, বেলারুশ, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, পোল্যান্ড, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে হোপ এডুকেশন গ্রুপের অধীনে ২৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প খরচে ডিপ্লোমা, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে গুণগত ও মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা দেওয়া হয়। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের যৌথ ডিগ্রি, উচ্চতর গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও ৫০০-এর অধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্তির সুযোগ দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে স্বল্প খরচে গুণগত ও মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা সেবা দিতে হোপ এডুকেশন গ্রুপের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় বা শাখা ক্যাম্পাস অথবা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানার সম্ভাব্যতার বিষয়টি তিনি তুলে ধরেন।
শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি দূর করা, উপযুক্ত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা, যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম প্রণয়নে সহায়তা করা, স্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে লিডারশিপ, প্রযুক্তি ও অবকাঠামো সুবিধা দেওয়ার বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন আইএনটিআই ইউনিভার্সিটির টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট ড. মোস্তাক আহমেদ।
প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং, আধুনিক প্রযুক্তি, মেডিসিন, জলবায়ু নিরাপত্তা, নার্সিংসহ যুগের চাহিদা অনুযায়ী বিভাগ খোলা হবে। স্নাতকদের দক্ষতা অর্জন ও বাজার উপযোগী করে গড়ে তোলার কথাও তিনি জানান। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে তিনি ইউজিসির সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান বলেন, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টিতে গবেষণার সুযোগ-সুবিধা, শিক্ষক নিয়োগ, টিউশন ফিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোকপাত করেছেন প্রতিনিধিরা। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিষয়ে পূর্ণ প্রস্তাবনা জমা দিতে বলা হয়েছে। সেটা পাওয়ার পর ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০’ ও ‘ক্রস বর্ডার হায়ার এডুকেশন ২০১৪’ বিধিমালা অনুযায়ী এ বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে।