মার্কিন নির্বাচন নিয়ে আলোচিত ১০ সিনেমা

বিনোদন ডেস্ক
  ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁদের ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা দুজন আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী। নির্বাচনের আগে জেনে নেওয়া যাক মার্কিন নির্বাচন নিয়ে নির্মিত ১০টি সিনেমার খবর।
‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’
ফ্রাঙ্ক কাপরার এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৪৮ সালে। এক ধনকুবের রিপাবলিকান প্রার্থী হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার স্বপ্ন দেখার গল্প নিয়ে নির্মিত এ সিনেমা সমালোচকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। ছবির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেন স্পেনসার ট্রেসি ও ক্যাথেরিন হেপবার্ন।
‘দ্য বেস্ট ম্যান’
ফ্রাঙ্কলিন জি সাফনারের এ ছবিতে অভিনয় করেন হেনরি ফন্ডা, ক্লিফ রবার্টসন ও লি ট্রেসি। সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে ১৯৬০ সালের একই নামের নাটক অবলম্বনে। মার্কিন নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়া ও পেছনের গল্প উঠে এসেছে এ সিনেমায়। এটি মুক্তি পায় ১৯৬৪ সালে।
‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন’
ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি কীভাবে কীভাবে রিচার্ড নিক্সনকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, সেটাই এ ছবিতে তুলে এনেছেন অ্যানা জে পাকুলা। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া এ ছবিটি নির্মিত হয়েছে দুই অনুসন্ধানী সাংবাদিক কার্ল বার্নস্টেইন ও বব উডওয়ার্ডের লেখা বই অবলম্বনে। পর্দায় এ দুই সাংবাদিকের চরিত্রে অভিনয় করেন ডাস্টিন হফম্যান ও রবার্ট রেডফোর্ড। সমালোচকেরা মনে করেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেন জরুরি, সেটা এ সিনেমায় ভালোভাবে উঠে এসেছে।
‘দ্য ওয়ার রুম’
১৯৯৩ সালে অস্কারে মনোনীত হয়েছিল ক্রিস হেগেডাসের এ তথ্যচিত্রটি। ব্যাপক প্রশংসিত তথ্যচিত্রটির বিষয়বস্তু ১৯৯২ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বিল ক্লিনটনের প্রচারণা।
‘দ্য আমেরিকান প্রেসিডেন্ট’
মাইকেল ডগলাস এ ছবিতে অভিনয় করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট চরিত্রে। ১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া এ ছবিটি পরিচালনা করেন রব রেইনার। বিপুল ব্যবসায়িক সাফল্যের সঙ্গে সমালোচকদের প্রশংসা পায় ছবিটি। মাইকেল ডগলাস ছাড়াও এ ছবিতে আছেন অ্যানেট বেনিং, মার্টিন শিন। জনপ্রিয় এক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবার নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিপত্নীক প্রেসিডেন্ট প্রেমে পড়েন এক পরিবেশবাদীর। এরপর কী হয় তা নিয়েই গল্প।
‘ওয়াগ দ্য ডগ’
নাম শুনেই আন্দাজ করা হয় এটি কমেডি ঘরানার সিনেমা। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই ব্ল্যাক কমেডি আদতে রাজনৈতিক বিদ্রূপাত্মক সিনেমা। এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেন ডাস্টিন হফম্যান ও রবার্ট ডি নিরো। সমালোচকদের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয় ছবিটি, ২০২০ সালে সর্বকালের সেরা রাজনৈতিক সিনেমার তালিকা করে ওয়াশিংটন পোস্ট। সেখানে এই ছবি ছিল ১২ নম্বরে। নির্বাচনের ঠিক আগে এক যৌন কেলেঙ্কারি ধামাচাপা দেওয়া নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।
‘প্রাইমারি কালারস’
১৯৯২ সালে বিল ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে নির্মিত সিনেমা। মাইক নিকোলাসের এই কমেডি-ড্রামা ছবিটি তৈরি হয়েছে জো ক্লেইনের লেখা ‘প্রাইমারি কালারস: আ নভেল অব পলিটিকস’ উপন্যাস অবলম্বনে। অস্কারে দুই মনোনয়ন পাওয়া এ ছবিতে অভিনয় করেন জন ট্রাভেলটা, এমা থম্পসন, ক্যাথি বেটস প্রমুখ। সমালোচকদের কাছে সমাদৃত হয় সিনেমাটি। ‘মার্কিন রাজনীতিতে কী হয়, সেটা এ ছবিতে ভালোভাবে উঠে এসেছে।’ এমনটাই ছিল বেশির ভাগ সমালোচকের মত। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯৮ সালে।
অ্যালেক্সান্দ্রা পেলোসি ও অ্যারন লুবারস্কির এই আলোচিত তথ্যচিত্রটি মুক্তি পায় ২০০৩ সালে। এই তথ্যচিত্রটি নির্মিত হয়েছে ২০০০ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের দীর্ঘ নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে।
‘হেড অব স্টেট’
২০০৩ সালে এ ছবিটি দিয়েই পরিচালনায় অভিষেক হয় কৌতূকশিল্পী, অভিনেতা ক্রিস রকের। কমেডি ঘরানার এ ছবিতে ক্রিস রক অভিনয়ও করেছেন। প্রচারণার মধ্যে মারা যান এক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। তখন বিকল্প হিসেবে বেছে নেওয়া হয় এমন একজনকে, যার কথা প্রায় কেউই ভাবেননি। এরপর কী হয়, তা নিয়েই এগিয়েছে গল্প।
জর্জ ক্লুনি বরাবরই রাজনৈতিক নানা বিষয় নিয়ে সোচ্চার। এবারের নির্বাচনে তিনি সরাসরিই কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করেছেন। ২০১১ সালে এই পলিটিক্যাল ড্রামা ছবিটি বানান। এতে ক্লুনি নিজেও অভিনয় করেন।
আরও ছিলেন রায়ান গসলিং, পল জিয়ামাটি, ইভান র‍্যাচেল উড। বক্স অফিসে সাফল্যের সঙ্গে অস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে মনোনীত হয় সিনেমাটি। প্রদর্শিত হয় প্রথম সারির চলচ্চিত্র উৎসবগুলোতে। ছবির গল্পের শুরু স্টিফেন মেয়ার্সকে নিয়ে। তিনি প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মাইক মরিসের জুনিয়র ক্যাম্পেইন ম্যানেজার। তিনি মাইককে একটি বড় রাজনৈতিক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ফেলেন, যা প্রেসিডেন্সিতে প্রার্থীকে বড় বিপদে ফেলে দেয়। এরপর কী হয়, তা নিয়েই এগিয়েছে গল্প।
সূত্র: ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট, বিবিসি, আইএমডিবি