‘ডিসকো ড্যান্সার’খ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। টলিউড, বলিউডে সমান জনপ্রিয়। এক সময় তৃণমূলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এরপর ‘সারদা কাণ্ডে’র পর নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। কলকাতাবাসী ধরেই নিয়েছিলেন দাদা বোধ হয় আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। কিন্তু গত বছরের ৭ মার্চ বিজেপিতে যোগদানের পর নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন মিঠুন।
অন্যদিকে এ সময়ের টলিউড চিত্রনায়ক দেব। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনিও তৃণমূলের সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। শুধু তাই নয়, বর্তমানে ঘাটাল আসনের সংসদ সদস্য তিনি। মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে দেবের ব্যক্তিগত খুবই ভালো। দেবের বাবা মুম্বাইয়ে থাকাকালীন ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা করতেন। ওই সময় থেকে মিঠুনের সঙ্গে দেবের সখ্যতা; যা এখনো রয়েছে।
অভিনয় ক্যারিয়ারে মিঠুনের সঙ্গে একাধিক সিনেমায় কাজ করেছেন দেব। তাদের অভিনীত ‘প্রজাপতি’ শিরোনামে একটি সিনেমা সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে। রাজনৈতিক মতাদর্শ দুজনের আলাদা হলেও ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও কাজের কারণে তাদের নিয়মিত আড্ডায় মেতে উঠতে দেখা যায়। কিন্তু এসব আড্ডায় ঝামেলা তৈরি হয় কিনা? এমন প্রশ্নের মুখে দেব বলেন— ‘আমরা দু’জনেই বিচক্ষণ মানুষ। তাই এমন কোনো বিষয়ে ঢুকিই না, যেখানে ঝামেলা হতে পারে।’
তার মানে নিরাপদ সীমা বজায় রেখে আড্ডা চলে? জবাবে দেব বলেন, ‘সেফ না ব্যাপারটা! দেখুন, মিঠুনদা তো বাচ্চা নন, যে তাকে বোঝাব। ঝামেলা তখনই হবে যখন তাকে বোঝানোর চেষ্টা করব যে, তিনি ভুল, আমি ঠিক। সেই জায়গাটাতে পৌঁছাতেই দিই না। আমরা কখনো নিজেদের পছন্দে হস্তক্ষেপ করি না।’
‘মিঠুনদা সকালে তৃণমূলকে গাল দিয়ে সন্ধ্যাবেলায় আমার বাড়িতে খেতে এসেছেন। বলেছি, মাংস খাবে? খাওয়াদাওয়া হয়েছে। আড্ডা জমেছে। এটাই আমাদের সম্পর্ক। আমি কখনো অন্য দলের কাউকে নিয়ে কটূক্তি করিনি। সেই জন্যই হয়তো মিঠুনদা আমাকে ভালোবাসেন। এজন্যই হয়তো আমার প্রতি এই ভ্রাতৃত্ববোধ, সৌজন্যবোধ!’ বলেন দেব।