গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মডেল-অভিনেত্রী সারিকা সাবরিন। বিয়ের কিছুদিন পরই স্বামী জি এস বদরুদ্দিন রাহির বিরুদ্ধে যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগ আনেন এই অভিনেত্রী। যা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। সেসময় সারিকা জানিয়েছিলেন, বেশ কিছুদিন ধরে আলাদা থাকছেন তিনি। এ নিয়ে মিডিয়াপাড়ায় আলোচনা কম হয়নি।
অবশেষে মিটে গেলো স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্ব। জানা যায়, স্বামীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নিয়েছেন সারিকা। বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে এক ছাদের নিচেই বসবাস করছেন তিনি। আর মন দিয়েছেন সংসারে।
এ বিষয়ে সারিকা সাবরিন বলেন, ‘আমাদের বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবার বসেছিল, রাহি ক্ষমা চেয়েছে। ও একসঙ্গে থাকার সুযোগ চেয়েছে আর আমি তো তাকে ভালোবাসি। তাই মামলা তুলে নিয়েছি। তা ছাড়া আমিও চেয়েছি, সুন্দরভাবে সংসার করতে। কারণ বিয়ে ভাঙা ভালো কিছু নয়। এই সুন্দর সমাধানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আমরা দুজনই একসঙ্গে সংসার করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন রাহির ভাড়া করা বসুন্ধরার বাসাতে আছি।’
‘মানুষ চায় সবার আগে নিজে ভালো থাকতে, তারপর আশপাশের মানুষকে ভালো রাখতে। ওই সময় আমার ওপর দিয়ে খুব ঝড় বয়ে গিয়েছিল। মামলা করার আগেও চেষ্টা করেছি, সমাধান করতে। কিন্তু পরে বাধ্য হয়েই কাজটি করতে হয়েছিল। থাক, সেসব কথা এখন আর না বলি।’ বলেন সারিকা।
দীর্ঘ সাত বছরের বন্ধুত্ব ও প্রেমের পর ২০১৪ সালে ব্যবসায়ী মাহিম করিমকে বিয়ে করেছিলেন সারিকা। বিয়ের এক বছরের মাথায় অভিনেত্রীর কোলজুড়ে আসে কন্যাসন্তান সেহরিশ আনায়া। তবে দুজনের বনিবনা না হওয়ায় ২০১৬ সালে সারিকার ভালোবাসার সেই সংসারটি ভেঙে যায়।
এরপর একা জীবন-যাপন করছিলেন সারিকা। কালেভদ্রে তাকে কাজে দেখা যেত। নিজেকে সবসময় আড়ালেই রাখতেন। জীবনের একাকীত্ব ঘুচিয়ে নতুন করে সংসারের পরিকল্পনা করেন এই অভিনেত্রী। তাই তো গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীবারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সারিকা।
পারিবারিক আয়োজনে তাদের বিয়ে হয়। এরপর ঘটা করে একই বছরের সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। ঝলমলে শুরুর পর অভিনয় অথবা সংসার—ঠিক কোনোটাই দানা বাঁধছিল না সারিকার জীবনে। মাত্র ৯ মাস সংসার করার পর স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক ও নির্যাতনের অভিযোগ আনেন তিনি। অবশেষে সব জটিলতা কাটিয়ে স্বামীর সংসারে ফের মন দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।