১৯৫২ সালের আজকেই এই দিনে বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউররা। তাদের বুকের তাজা রক্তে স্বীকৃতি পেয়েছে বাঙালির মাতৃভাষা। অথচ এই বাংলাদেশেই বাংলার পাশাপাশি রয়েছে অনেক পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ভাষা। কালের পরিক্রমায় যেগুলো ক্রমশ অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে। এই বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বললেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি এক ফেসবুক পোস্টে জয়া লিখেছেন, ‘যে ভাষায় আমরা প্রতি মুহূর্তে বাঁচি, সেই বাংলা ভাষার দাবিকে রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা করার এই দিনটিকে শ্রদ্ধা জানাই। এদিন কঠোর সংকল্পে নিজেকে জাগিয়ে তোলার দিন। বাংলা আমাদের ভাষা। আর এই ভাষার নামেই তো আমাদের স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ। তবু এই ভাষাকে নিয়ে কত কিছু এখনো আমাদের করার বাকি রয়ে গেল। রাষ্ট্রে, সমাজে, শিক্ষায়। বাংলাকে নিয়ে আমাদের বহুপথ চলা এখনো বাকি। সে পথ আমরা সবাই মিলে নিশ্চয়ই পাড়ি দেব।’
দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘একুশে এখন সারা পৃথিবীর নিপীড়িত, পর্যুদস্ত, মুমূর্ষু ভাষার অনুপ্রেরণাও। সেই অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে বাংলাদেশের তরুণেরা, আজ থেকে একাত্তর বছর আগে। ভাবা যায়!’
পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ভাষার প্রসঙ্গে টেনে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘পাহাড়ে আমাদের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের ভাষাগুলো ভালো নেই। পত্রিকায় পড়েছি, রেংমিটচ্য নামে একটি ভাষার মানুষ নাকি বেঁচে আছে মাত্র পাঁচ–ছয়জন। তাদের পর পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে একটি ভাষা। একটি ভাষা হারিয়ে যাওয়া মানে অনন্য একটি ফুলের বাগান উজাড় হয়ে যাওয়া, যা আর কখনোই ফিরে আসবে না। আমরা কি কোনোভাবেই একে টিকিয়ে রাখতে পারি না? নানা ভাষা পৃথিবীকে যে বিচিত্র রঙে রাঙিয়ে তুলেছে, সেটা পৃথিবীজোড়া মানুষের বৈচিত্র্যেরই রং। একুশেতে মানুষের এই রঙিন পৃথিবীকে সালাম জানাই।’
এদিকে জয়াকে অচিরেই পাওয়া যাবে হিন্দি সিনেমায়। ‘করক সিং’ নামের সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী। এতে জয়ার সঙ্গে আছেন- বলিউডের পঙ্কজ ত্রিপাঠী, সানজানা সাঙ্ঘি ও মালায়লাম তারকা পার্বতী প্রমুখ।