না, রবিবার (১৫ অক্টোবর) শাবনূরের জন্মদিন না। তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন ১৭ ডিসেম্বর। তবু আজকের দিনটি তার জীবনে অত্যন্ত বিশেষ। কারণ এই দিনেই মূলত কাজী শারমিন নাহিদ নুপুর নামের একটি তরুণী রূপালি ভুবনে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন, যিনি পরবর্তীতে শাবনূর নামে দেশজোড়া খ্যাতি পান।
বছরটা ছিল ১৯৯৩ সাল। তারকা তৈরির কারিগর এহতেশাম নির্মাণ করেন ‘চাঁদনী’ নামের একটি ছবি। যেখানে নায়ক-নায়িকা হিসেবে বেছে নেন সাব্বির ও শাবনূরকে। ছবিটি মুক্তি পায় ওই বছরের ১৫ অক্টোবর। সেই সুবাদে রবিবার (১৫ অক্টোবর) ঢালিউডে শাবনূরের তিন দশক পূর্ণ হয়েছে।
যদিও অনেক দিন হলো ঢাকাই সিনেমার সঙ্গে শাবনূরের দূরত্ব ৯ হাজার কিলোমিটার। পাকাপাকিভাবে তিনি বসবাস করছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। শেষ তাকে পর্দায় দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে। তবু মনেপ্রাণে এখনও সিনেমাতেই মিশে আছেন এই সুদর্শনা। তাই দূর প্রবাস থেকেই নিজের জীবনের উজ্জ্বলতম অধ্যায়ের স্মৃতিচারণা করলেন, জানালেন সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
শাবনূর বলেন, ‘চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে অনেক গুণী পরিচালকের ছবিতে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান মানিক পরিচালিত ‘দুই নয়নের আলো’ (২০০৫) ছবিটি আমাকে এনে দিয়েছিলো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সম্মান। তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে ১০ বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছি। এছাড়াও ৬ বার বাচসাস পুরষ্কার লাভ করি। প্রবল দর্শক চাহিদার জন্য প্রযোজক-পরিচালকরা আমাকে নিয়ে ছবি নির্মাণে অত্যন্ত আগ্রহী হওয়ায় আমার পক্ষে ১৫৮টি ছবির বিশাল মাইলফলক ছোঁয়া সম্ভব হয়েছে।’
নিজের অভিনীত দর্শকপ্রিয়, সফল কিছু ছবির নামও উল্লেখ করেছেন শাবনূর। তবে নায়িকার মতে, প্রতিটি ছবিই তার ভীষণ প্রিয়। সহশিল্পীদের কথা উল্লেখ করলেন বিশেষভাবে, ‘প্রয়াত সালমান শাহর সঙ্গে আমার জুটি ছিলো সবচেয়ে বেশি দর্শকপ্রিয়। সালমানের অকাল মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মাত্র চার বছরে আমি ও সালমান সর্বাধিক ১৪টি দর্শক নন্দিত ও ব্যাবসা সফল ছবিতে জুটি বেঁধে কাজ করেছিলাম। আমার চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে আরও যেসব সহশিল্পীর অবদান অনেক বেশি রয়েছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন- প্রয়াত মান্না ভাই, ওমর সানী, বাপ্পারাজ, আমিন খান, অমিত হাসান, রিয়াজ আহমেদ, ফেরদৌস আহমেদ, শাকিল খান ও শাকিব খান প্রমূখ।’
এছাড়া প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী, ক্যামেরাম্যান, ছবির সঙ্গে জড়িত সব কুশলী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন শাবনূর। আর দর্শকের উদ্দেশে তার বক্তব্য, ‘দর্শক ও ভক্তদের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও সমর্থনে আমি আজকের শাবনূর। সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্ত হওয়ার পর থেকে সর্বক্ষণ উপলব্ধি করছি, আমাকে নিয়ে তাদের ভালোবাসা আজও বদলায়নি, বরং বেড়েই চলেছে। আমার প্রতি আপনাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ভবিষ্যতেও আশা করি অব্যাহত থাকবে।’