তারকাদের ঈদ

যতক্ষণ টাকা থাকে ততক্ষণই ঈদ সালামি দিই : তমা মির্জা

এক লাখ টাকা সালামি পেয়েছি : জায়েদ খান
বিনোদন ডেস্ক
  ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:২২

‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির দুই বছর পর ঈদুল ফিতরে নতুন সিনেমা ‘দাগি’ নিয়ে বড় পর্দায় হাজির হয়েছেন তমা মির্জা। যার দরুণ এবারের ঈদ উৎসব তার সিনেমা ঘিরেই কাটবে, এটা বলাই বাহুল্য। ঈদের পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে এই চিত্রনায়িকা কালের কণ্ঠকে বলেন, “ঈদের দিন বিকেল পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গেই থাকব। তাদের সঙ্গে সময় কাটাব।
তারপর ‘দাগি’ টিমের যদি কোনো পরিকল্পনা থাকে তাহলে তাদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাব। এরপর আবার নিজে লুকিয়ে লুকিয়ে হলে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে বসে সিনেমাটা দেখব। তখন দর্শকদের ‘র’ রি-অ্যাকশনটা দেখতে পারি। এ রকমটা আগেও করেছি।
‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তির সময়ে আম্মু আর আমি টিকিট কেটে গিয়ে সিনেমা দেখে এসেছিলাম। এবারও তাই করব।’
ঈদের দিন মায়ের হাতের গরুর মাংস রান্না এবং লাচ্ছি সেমাই খেতে ভীষণ পছন্দ করেন তমা মির্জা। বাসায় সবার জন্য পোলাও রান্না হলেও এদিন শুধু তার জন্য আলাদা করে সাদা ভাত রান্না করতে হয় বলে জানান এ নায়িকা।
তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন অন্যান্য সবার মতো আমাদের বাসায়ও গরুর মাংস, রোস্ট, পোলাও রান্না করা হয়। তবে ঈদের দিন সাদা ভাত আর আম্মুর হাতের গরুর মাংস আমার ভীষণ পছন্দ। এটা আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার। সবার জন্য পোলাও রান্না করলেও আমার জন্য আম্মু সাদা ভাত রান্না করেন। এরপর সেমাই তো অবশ্যই।
লাচ্ছি সেমাই আমার খুব প্রিয়, সেটাও আম্মুর হাতের।’
ফ্যাশন সচেতনতায়ও অনন্য তমা। আবহাওয়া বুঝে পোশাক নির্ধারণ করেন। ঈদের পোশাক প্রসঙ্গে তমা মির্জা বলেন, ‘এখন যেহেতু একটু গরম, দিনের বেলা অল্প ডিজাইনের মধ্যে হালকা গড়নের কামিজ পরা হবে। এরপর রাতে যেহেতু ফ্রেন্ডজদের বাসায় যাওয়া হবে তখন আবার একটু অন্য রকম ডিজাইনের কামিজ পরা হবে।’
ঈদ আনন্দে সালামি, প্রসঙ্গ টেনে নায়িকা জানালেন ঈদে এখন সালামি পাওয়ার চেয়ে দেওয়াই হয় বেশি। বললেন, ‘এখন আর সেভাবে সালামি পাই না। শুধু আব্বু-আম্মুর কাছ থেকেই পাই। তবে দেওয়া হয় বেশি, ছোটদের দিই সব সময়ই। যতক্ষণ আমার কাছে টাকা থাকে ততক্ষণই সালামি দিই। আব্বু-আম্মুর কাছ থেকে প্রাপ্ত সালামির চেয়ে আমার জন্য তাদের দোয়াটাই আমার কাছে মূল্যবান।’
ছোট আর বড় বেলায় ঈদের আনন্দটাও অনেকটা বদলে যায়। শৈশবের আনন্দটাই ছিল অন্য রকম। ঈদের আগে লাগেজ গুছিয়ে দাদু বাড়ি চলে যেতেন। সেখান থেকে চাচার বাড়ি, নানার বাড়ি- এভাবেই ঘুরে বেড়িয়ে উদযাপন করা হতো ঈদ। সে সময় পাওয়া ঈদ সালামিগুলো টিফিনের টাকার মতো করে জমিয়ে রাখতেন বলে জানান। এর পর বললেন, ‘ছোটবেলায় ঈদ কাটত দাদু, চাচা-নানি-খালাদের সাথে আর এখন ঈদ কাটে দর্শকের সাথে। যেহেতু এখন ঈদে আমার সিনেমা রিলিজ হয়।’

এক লাখ টাকা সালামি পেয়েছি : জায়েদ খান
এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জায়েদ খান। সেখানেই উদযাপন করেছেন এবারের ঈদ। এর আগেও একবার দেশটিতে ঈদ করেছিলেন। তবে এবার মিস করছেন সব আপন মানুষদের।
ঈদের নামাজ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে যারা পরিচিতজন যারা আছেন তাদের সঙ্গে দেখা করা পাশাপাশি ঢাকায় সবার সঙ্গে কথা বলেই দিনটা পার করছেন তিনি।
কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান বলেন, বাবা-মায়ের কবরে যাওয়া মিস করছি। তাদের কথা খুব মনে পড়ছে। ভাই-বোনদের মিস করছি, মায়ের মত বোন যে তাকে খুব বেশি মিস করছি এবার।
সেই সঙ্গে সব আপন মানুষরা তো রয়েছেনই।
বাবা-মা বেঁচে থাকাকালীন প্রতি ঈদেই তাদের কাছ থেকে সালামি পেতেন জায়েদ খান। এবার সেটাও মিস করছেন বলে জানালেন। 
শৈশবের স্মৃতি ঘেঁটে তিনি বললেন, আমি পিরোজপুরের শৈশবের ঈদটাকে মিস করি খুব।
বাবা আমাকে লুকিয়ে অন্যদের থেকে বেশি সালামী দিতেন। একবার বাবা জুতা কিনে দিয়েছিলেন, আমি সেটা বালিশের পাশে নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। এখনো মাঝেমধ্যেই সেসব দিনগুলোর কথা মনে পড়ে, বিশেষ করে ঈদে।
ঈদে সালামি দিতেও পছন্দ করেন জায়েদ খান আবার নিতেও। সর্বোচ্চ সালামি পেয়েছেন এক লাখ টাকা, আবার দিয়েছেনও তবে সেটা তার কোনো এক প্রিয় মানুষকে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সালামি পেয়েছি এক লাখ টাকা। গত ঈদে ডিপজল ভাই দিয়েছিলেন আমাকে। আর আমি সর্বোচ্চ দিয়েছিলাম আমার এক প্রিয় মানুষকে।