তিশা নাকি মা হতে চলেছেন। তিশার একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্র এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে। নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে অনেক আলোচনাও হচ্ছে। এটা টেস্ট টিউব বেবি নাকি স্বাভাবিক? এমন নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও। আর এই জল্পনা আরও বেড়েছে তারা যখন নতুন বাসা খুঁজছিলেন।
রাজধানীর গুলশান-১ এলাকায় রিকশায় চড়ে অসমবয়সি এই দম্পতিকে ভালো-বাসা খুঁজতে দেখা যায়। এই দম্পতির একাধিক ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, সংসারে নতুন অতিথি আগমনের আগে ভালো বাসায় যেতে চাচ্ছেন তারা। এজন্য বিগত কয়েকদিন ধরেন নিকেতন ও গুলশান-১ তন্ন তন্ন করে বাসা খুঁজছেন তারা।
তিশার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানান, শিগগিরই মুশতাক আহমেদ ও তিশা বাবা-মা হতে যাচ্ছেন। এছাড়া সন্তান ছেলে বা মেয়ে হলে কি নাম রাখবেন তাও নাকি ঠিক করে ফেলেছেন তারা।
তবে এ বিষয়ে ঢাকা টাইমস প্রতিবেদকের কাছে খোলাসা করেছেন খন্দকার মুশতাক আহমেদ নিজেই। তিনি বলেন, ‘সন্তান নেওয়ার বিষয়ে আমরা এখনই কিছু ভাবছি না। আর তিশাও এখন সন্তান নিতে আগ্রহী না। সোশ্যাল মিডিয়ায় তো কতকিছুই দেখা যায়। এমন কিছু হলে অবশ্যই জানবেন।’
এদিকে নতুন বাসার বিষয়ে মুশতাক আহমেদ বলেন, ‘আমার তো নিজেরই বাসা রয়েছে, আবার ভাড়া বাসা খুঁজবো কেন? ওইদিন গাড়িতে বের হতে ভালো লাগছিল না, তাই তিশাকে নিয়ে রিকশায় বেরিয়েছিলাম। মূলত এক আত্মীয়ের বাসা খুঁজছিলাম।’
সিনেমার গল্পকেও হার মানিয়ে ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ একাদশ শ্রেণির সিনথিয়া ইসলাম তিশার সঙ্গে সংসার পাতেন ষাটোর্ধ্ব খন্দকার মুশতাক আহমেদ।
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ছিলেন তিনি। সে সময় কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন তিশা। দেখায় দেখায় তরুণী তিশার প্রেমে পড়েন এই বৃদ্ধ তরুণ। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সারা দেশের মিডিয়ায় আলোড়ন তুলে ২০২৩ সালের ২৫ মার্চ তারা বিয়ে করেন।
বিষয়টি তিশার পরিবার মেনে নিতে পারেনি। মেয়েকে হয়রানি ও অপহরণের অভিযোগ তুলে মামলা করেন তিশার বাবা সাইফুল। তবে এতে দমে যাননি মুশতাক-তিশা। মামলা, সমাজের কটাক্ষ উপক্ষো করে টিকে আছে তাদের সংসার।