অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি তার দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গায়িকা টেইলর সুইফটকে হুমকি দিয়েছেন। সেখানে তিনি পরিচালক ও অভিনেতা জাস্টিন বালডোনির সঙ্গে চলমান মামলায় সুইফটকেত তার পক্ষে চেয়েছেন। নইলে টেইলরের ব্যক্তিগত ও বিব্রতকর মেসেজ ফাঁস করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন লাইভলি।
বিষয়টি উঠে এসেছে জাস্টিন বালডোনির আইনজীবীরা বুধবার আদালতে জমা দেওয়া এক আইনি চিঠিতে। এরপর থেকে হলিউডে বিষয়টি বিতর্কের ঝড় তুলেছে।
ডেইলি মেইলের বরাতে বলা হচ্ছে, ‘গসিপ গার্ল’ খ্যাত অভিনেত্রী ব্লেক লাইভলি তার বন্ধু টেইলর সুইফটকে মেসেজ মুছে ফেলতে বলেছিলেন। সেইসঙ্গে বালডোনির বিপরীতে তার আইনি লড়াইয়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য চাপ দিয়েছেন। বালডোনির আইনজীবী ব্রায়ান ফ্রিডম্যান দাবি করেন, লাইভলি যা করেছেন তা সাক্ষীকে প্রভাবিত ও তথ্যপ্রমাণ ধ্বংসের শামিল।
ব্লেক লাইভলি ও টেইলর সুইফটের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। সুইফট ছিলেন লাইভলি ও রায়ান রেনোল্ডসের তিন সন্তানের গডমাদারও। তারা নিয়মিত একে-অপরের সঙ্গে পারিবারিক সময় কাটাতেন। তবে ‘ইট এন্ডস উইথ আস’ সিনেমার সেটে লাইভলি ও সহ-অভিনেতা/পরিচালক জাস্টিন বালডোনির মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার পর থেকে সেই বন্ধুত্বে ফাটল ধরে।
ডিসেম্বরে লাইভলি অনিয়মের অভিযোগে বালডোনির বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর জবাবে জানুয়ারিতে বালডোনি পাল্টা মানহানির মামলা করেন। সেখানে রায়ান রেনোল্ডসকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই মামলায় টেইলর সুইফটের নামও উঠে আসে এবং তাকে সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয়।
আইনজীবীরা দাবি করেন, লাইভলি তার আইনজীবীর মাধ্যমে তার পক্ষে বিবৃতি দিতে সুইফটের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। বিবৃতি না দিলে ব্যক্তিগত টেক্সট ফাঁস করার ইঙ্গিত দেন তিনি। সেই মেসেজগুলোতে এক দশকেরও বেশি সময়ের বন্ধুত্ব, ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও গোপন আলাপচারিতা ছিল।
একটি মেসেজে দেখা যায় লাইভলি নিজেকে ‘খালিসি’ (গেম অব থ্রোনস’-এর চরিত্র) এবং সুইফটকে ‘আমার ড্রাগন’ বলে উল্লেখ করেন। এটি বালডোনিকে ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, এই ঘটনায় সুইফট ভীষণ ক্ষুব্ধ ও বিধ্বস্ত। তিনি মনে করছেন, এই ঘটনাটিতে তাকে ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি লাইভলিকে তার ঘনিষ্ঠ বৃত্ত থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। এমনকি তার প্রেমিক ট্র্যাভিস কেলসিও লাইভলির স্বামী অভিনেতা রায়ান রেনোল্ডসকে ইনস্টাগ্রাম থেকে আনফলো করেছেন।
এক সময়ের অটুট বন্ধুত্ব এখন কঠিন দ্বন্দ্বে রূপ নিয়েছে। ব্লেক লাইভলির বিরুদ্ধে টেইলর সুইফটকে হুমকি, সাক্ষ্য প্রভাবিত করা ও বন্ধুত্বের গোপনীয়তা ফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে। এতে করে সুইফট সম্পর্ক ছিন্ন করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। আর হলিউডে এই ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়ছে নেতিবাচকভাবে।