ছোট ও বড় পর্দার অভিনেত্রী রিকিতা নন্দিনী। পরিচিতরা তাকে শিমু নামেও ডাকেন। দুই ভাই-বোনের মধ্যে বড় নন্দিনী। শৈশবে টোকাই নাট্যদলে যোগ দেন তিনি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে গভীরভাবে অভিনয়ের প্রেমের পড়ে যান। পড়াশোনা ও নাট্য চর্চা চালিয়ে যাওয়ার সময়ে তার মনে হয়— দেশের একজন ভালো অভিনয়শিল্পী হতে চান তিনি।
অভিনয়ে যুক্ত হওয়ার বিষয়ে রিকিতা নন্দিনী বলেন, ‘আমার মামা থিয়েটারে কাজ করতেন। তিনিই আমাকে থিয়েটারে নিয়ে যান। মূলত তার হাত ধরেই আমার এই জগতে আসা, কাজ করা। ছোটবেলায় যখন টিভি দেখতাম, তখন ভাবতাম ইস আমি যদি এখানে কাজ করতে পারতাম।’
প্রয়াত অভিনেতা মাসুম আজিজের ‘তালা’ নাটকের মধ্য দিয়ে টিভি নাটকে পা রাখেন রিকিতা নন্দিনী। এরপর তারেক মাসুদের ‘রান ওয়ে’ সিনেমায় মূল চরিত্র রুহুলের গার্লফ্রেন্ড শিউলি চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। মোহাম্মদ হান্নানের ‘শিখন্ডি কথা’ সিনেমার পর নাম লেখান ‘আন্ডার কন্সট্রাকশন’ সিনেমায়। বর্তমানে এ সিনেমার নাম রাখা হয়েছে ‘শিমু’। সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।
‘শিমু’ সিনেমা নির্মাণ করেছেন রুবাইয়াত হোসেন। গত বছর মুক্তির পর সিনেমাটি বিশ্বের মর্যাদাপূর্ণ বেশ কিছু উৎসবে পুরস্কার লাভ করে। এ সিনেমার জন্য এবার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২’-এ সেরা অভিনেত্রী বিভাগে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন রিকিতা নন্দিনী; যা তার জন্য অপ্রত্যাশিত!
পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি রিকিতা নন্দিনী। তার ভাষায়— ‘প্রথমে তো হাত পা কাঁপছিল, বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আজমেরী হক বাঁধন আপু আমাকে প্রথম মেসেজ করে জানান। আমি ভেবেছিলাম, আপু হয়তো ভুল করে আমাকে মেসেজ দিয়েছেন। তারপর সৈয়দ আহমেদ শাওকি ভাই ফোন করে অভিনন্দন জানান। আমি তো অবাক। সবাই অভিনন্দন কেন জানাচ্ছে! তখন তিনি জানান, আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি।’
বাংলাদেশ থেকে রিকিতা নন্দিনীর এটি প্রথম স্বীকৃতি। তা উল্লেখ করে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে অল্প অল্প করে কাজ করছি। প্রথম একটা কাজের স্বীকৃতি পেলাম বাংলাদেশ থেকে। এটা সত্যি অন্যরকম অনুভূতি।’
দেখে দেখে কাজ করছেন রিকিতা নন্দিনী। তাই বর্তমানে অভিনয় নিয়ে খুব একটা ব্যস্ততা নেই তার। তা জানিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এখন তেমন কোনো কাজ করছি না। তবে কিছু কাজের বিষয়ে কথা চলছে। আমি আস্তে ধীরে কাজ করতে পছন্দ করি। অপেক্ষায় আছি ভালো কিছু করার।’