কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সুন্দরী প্রতিযোগিতা

মুকুট জয় করলেন মরক্কোর কেনজা লাইলি

বিনোদন ডেস্ক
  ১১ জুলাই ২০২৪, ১৩:৩০

বিশ্বে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার। এআইয়ের প্রম্পট থেকে কৃত্রিম ছবি তৈরি করা যায়। আর তাই নিজেদের কল্পনা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিষয়ের ছবি তৈরি করেন অনেকেই। বিশ্বজুড়ে এই এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে চলছে নানান আয়োজন। সব কিছুই যেন চোখের পলকে করে দিচ্ছে এআই। এবার সেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই নিয়ে হয়ে গেল সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস এআই’। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিলে এআই কনটেন্ট-নির্ভর ওয়েবসাইট ফ্যানভ্যু আয়োজন করেছিল বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস এআই’। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। এতে মরক্কোর হিজাবি ইনফ্লুয়েন্সার কেনজা লাইলির মাথায় উঠেছে বিজয়ীর মুকুট।
তবে, সাধারণ বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার মত কেনজা লাইলি তার সৌন্দর্যের ওপর মুকুট অর্জন করেননি। এখানে অংশগ্রহণকারীরা এআইকে ব্যবহার করে একটি ভার্চুয়াল মডেলকে নিজের মত রূপ দিয়েছেন। সবমিলিয়ে মডেলের গঠন, পোশাক, ডিজাইন দেখে বিবেচনা করা হয়েছে কোন প্রতিযোগী এআই মডেলকে সবচেয়ে আকর্ষণীয় রূপে তৈরি করেছে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ক্রিয়েটরের দক্ষতা এবং কোন টুলের মাধ্যমে ক্রিয়েটর এ মডেল বানিয়েছেন, তা যাচাই করা হয়েছে। এখানে প্রম্পট সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে।
প্রায় ১ হাজার ৫০০ প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে এই সম্মাননা অর্জন করেছেন কেনজা লাইলি। এছাড়া রানার্সআপ হয়েছে ফ্রান্সের লালিনা ভালিনা ও পর্তুগালের অলিভিয়া সি। কেনজা লাইলি হিজাব পরিহিত অ্যাকটিভিস্ট ও ইনফ্লুয়েন্সার। ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা ১ লাখ ৯৫ হাজার। সে-ই মরক্কোর প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার। সে মরক্কোর প্রথম ভার্চ্যুয়াল ইনফ্লুয়েন্সার। নিজের কনটেন্টের মাধ্যমে লাইলি তার দেশের ঐতিহ্যকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে চায়। পাশাপাশি আরব বিশ্বের নারীর ক্ষমতায়নের বিশেষ অবদান রাখার লক্ষ্য তার। বিজয়ী হওয়ার পর নিউইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কেনজা লাইলি বলে, ‘যদিও আমি মানুষের মতো আবেগ অনুভব করি না, কিন্তু আমি আসলেই অনেক আনন্দিত।’