ঢালিউড অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা জাহারা মিতুকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের চলছে আলোচনা-সমালোচনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরই সাবেক সড়ক ও পরিবহণমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে এ অভিনেত্রীর সম্পর্ক নিয়ে নানান ‘চটকদার’ শিরোনামে খবর প্রচার হয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। সেখানে দাবি করা হয়— ওবায়দুল কাদেরকে নিজের অভিভাবক মানতেন জাহারা মিতু। তাদের দুজনের মধ্যে ছিল বেশ ভালো সম্পর্ক।
শুধু তাই নয়, এর মধ্যে একটি গণমাধ্যম আরও একধাপ এগিয়ে ‘নায়িকা জাহারা মিতুর স্পর্শ ছাড়া ঘুমাতেন না ওবায়দুল কাদের’ শিরোনামে একটি সংবাদ ভিডিও প্রকাশ করেছে।
এর পরিপেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে জাহারা মিতু লিখেছেন— একটা আজব স্ক্রিপ্ট দিয়ে শুরু আজকের এ অবস্থা। একটা তৃতীয় সারির অনলাইন পোর্টাল যার নামও আমি এর আগে কখনো শুনিনি। হয়তো ওই নিউজটাই তাদের সবচেয়ে দ্রুত ভিউ পাওয়া একটি নিউজ।
এ অভিনেত্রী আরও লিখেছেন, ‘কোনো সোর্স কিংবা প্রমাণ ছাড়াই মন্ত্রিপাড়ায় ঢুকে ঘুম পাড়ানোর মতন দুর্বল স্ক্রিপ্ট, সেই সঙ্গে দুর্দান্ত কাস্টিং। আর কি লাগে? ভিউয়ের জন্য এটাই যথেষ্ট। যখন সোর্স কি জিজ্ঞাসা করা হলো— উত্তর এলো সবাই তো বলে। এই সবাই তো বলে, এটি নাকি কোনো সোর্স?’
জাহারা মিতু বলেন, সবাই জানলো তার ওই স্ক্রিপ্ট দিয়ে, তার আগে কেউ কিছুই জানে না। তিনি বলেন, খুঁজতে থাকলাম এই স্ক্রিপ্টের রচয়িতা কে? একটি ছবি পেলাম হাতে। রচয়িতার ছোট্ট মেয়ে কোলে বসে আছে। বাবার কোলে মেয়ে। আমার আব্বু নেই, তাই হয়তো ছবিটা দেখে রাগ কিছুটা কমে গিয়েছিল। ভেবেছিলাম ছবিটা দিয়েই পোস্ট দেব, সাংবাদিকতার লাল-হলুদ-নীল রঙ নিয়ে কথা বলব। তবে থেমে গেলাম এই ছোট্ট মুখটার দিকে তাকিয়ে।’
শেষে জাহারা মিতু লিখেছেন— দোয়া করি মা, তোমার বাবা যেভাবে একটা মেয়ের বদনাম রটিয়েছে তা তোমার ভাগ্যে কখনো না জুটুক। তোমার নামে কেউ কখনো মিথ্যা অপবাদ না দিক, আল্লাহ যেন তোমাকে কোনো পাড়া-প্রতিবেশীরও মিথ্যা অপপ্রচারের ভাগিদার না করে। বড় হও, তবে বাবাকে এসব অপরাধের জন্য ঘৃণা করো না, হয়তো তোমার মুখে ভাত তুলে দিতেই আজ তার এ অবস্থা।’