বলিউডের দুই সুপারস্টার সালমান খান আর ঐশ্বরিয়া রাইয়ের প্রেমকাহিনী বিটাউনে দারুণ চর্চিত বিষয়। এই জুটিকে একসঙ্গে দেখতে ভীষণ পছন্দ করে দর্শক। কিন্তু প্রেম ভাঙনের পর থেকে বিগত ১৫ বছর তাদের একসঙ্গে দেখা যায়নি। ঐশ্বরিয়া জুনিয়র বচ্চনকে বিয়ে করে সংসারী হয়ে ওঠেন। তবে সালমান খান এখনো অবিবাহিত। এতদিন তাদের নিয়ে সেভাবে কথা না হলেও সম্প্রতি ঐশ্বরিয়া-অভিষেক বচ্চনের সংসার ভাঙনের খবর সামনে আসায় আবারও আলোচনায় এসেছে সালমান-ঐশ্বরিয়ার পুরোনো সম্পর্ক।
কারণ দর্শক এখনো চায় সালমান-ঐশ্বরিয়া আবারও মিলে যাক। আর ঐশ্বরিয়ার বিয়ে বিচ্ছেদের গুঞ্জনের ফলে সেই আশা আবার জেগেছে ভক্তদের মনে! তবে এই পুরোনো সম্পর্ক আরও বেশি চর্চিত হচ্ছে সালমানের সাবেক আরেক প্রেমিকা সোমী আলীর এক সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের ফলে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার বলছে, সাক্ষাৎকারে সোমী বলেছেন, ঐশ্বরিয়ার প্রেমে পড়েই সোমীকে সালমান ছেড়ে দেন। সোমী এও বলেছেন যে, ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ সিনেমার সেটে সালমান আর ঐশ্বরিয়া একে অপরের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন। সে সময় লুকিয়ে সালমানের বাড়ির নিচের তলার জিমেও নাকি একান্তে সময় কাটাতে আসতেন ঐশ্বরিয়া।
গুঞ্জন রয়েছে যে সালমান খানের সঙ্গে লুকিয়ে বিয়েও সেরেছিলেন ঐশ্বরিয়া। লোনাভালার এক বিলাসবহুল বাংলোতে বসেছিল সালমান ও ঐশ্বরিয়ার বিয়ের আসর। উপস্থিত ছিলেন ঘনিষ্ঠ পরিজন ও বন্ধুবান্ধব। তবে এই সম্পর্কে মোটেই সম্মতি ছিল না প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরীর বাবা-মায়ের। এমনকি ঐশ্বরিয়ার ধর্মান্তরিত হওয়ার কথাও রটে যায় মুম্বাইয়ের শোবিজ অঙ্গনে।
তাই ঐশ্বরিয়ার বাবা-মা নাকি এই বিয়েতে অনুপস্থিত ছিলেন। বিয়েতেই শেষ নয়। সালমান ও ঐশ্বরিয়া নিউইয়র্কে মধুচন্দ্রিমা করতে গিয়েছিলেন বলেও খবর রটে গিয়েছিল। তবে এই ঘটনাগুলোর সত্যতা কখনোই প্রকাশ্যে আসেনি। গুঞ্জন হিসেবেই থেকে গিয়েছে সালমান ও ঐশ্বরিয়ার বিয়ের খবর।
এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে ঐশ্বরিয়াকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি সবটাই মিথ্যা বলে দাবি করেছিলেন। তিনি জানান, তিনি বিয়ে করলে গোটা ইন্ডাস্ট্রি জানতে পারবে। ঐশ্বরিয়া বলেছিলেন, ‘বিয়েটা হলে গোটা ইন্ডাস্ট্রির কাছে কি খবর থাকত না? খুব ছোট আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রি। আমি এমন মানুষ নই যে বিয়ের মতো বড় ব্যাপারকে অস্বীকার করব। বিয়ে হলে গোটা দুনিয়াকে গর্বের সঙ্গে আমার বরের সঙ্গে পরিচয় করাতাম। বিয়ে করার সময় কোথায়? তা ছাড়া আমি আমার ধর্মকে (হিন্দু ধর্ম) খুব সম্মান ও বিশ্বাস করি। ফলে এই গুজবগুলো সত্যিই হাস্যকর।’
২০০২ সালে সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন ঐশ্বরিয়া ও সালমান। তবে সেই বিচ্ছেদ নিয়েও চর্চা হয়েছিল বিস্তর। বিচ্ছেদের পর দুজনের মধ্যে প্রায় মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়। এরপর আর কখনো একসঙ্গে কাজ করেননি ঐশ্বরিয়া ও সালমান। সালমান খানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ঐশ্বরিয়া। দুজনের দাম্পত্য জীবনে একটি কন্যা রয়েছে, যার নাম আরাধ্য। তবে সম্প্রতি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, অভিষেকের সঙ্গেও সম্পর্কের ইতি টানতে যাচ্ছেন সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী।
শুধু ঐশ্বরিয়া নয়, একের পর এক অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলিউডের মেগাস্টার সালমান খান। এই তালিকায় সংগীতা বিজলানি থেকে শুরু করে রয়েছেন শাহিন জাফরি, সোমি আলী, ঐশ্বরিয়া রাই, ক্যাটরিনা কাইফ, ইউলিয়া ভান্তুরসহ আরো অনেকেই। সঙ্গীতার সঙ্গে তো তার বিয়ের কার্ড পর্যন্ত ছাপানো হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু সেই বিয়েটাও সালমান তখন করেননি। তবে ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে সালমান খানের প্রেমের অধ্যায় সর্বাধিক আলোচিত।