অবশেষে মরদেহ উদ্ধারের পাঁচদিন পর রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নব্বই দশকের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মনি কিশোর।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে জানাজা শেষে দক্ষিণ বনশ্রীর সুলতান ভূঁইয়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
রাজধানীর রামপুরার বাসা থেকে গত শনিবার মনি কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারণা, চার থেকে পাঁচ দিন আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। একসময়ের জনপ্রিয় এই গায়কের মৃত্যুর কারণ এখনো নিশ্চিত না হলেও রামপুরা থানার পুলিশ জানিয়েছে, শিল্পী মনি কিশোরের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।
গীতিকার মিল্টন খন্দকার জানান, ‘মনি কিশোরের মেয়ে নিন্তী চৌধুরী সরকারীভাবে একটি কাগজ পাঠিয়েছেন। সেই কাগজটি প্রশাসন হাতে পেয়ে দাফনের অনুমতি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় রামপুরার দক্ষিণ বনশ্রীর বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর মসজিদটির পাশেই সুলতান ভূঁইয়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।’
পেশাদার সংগীতজীবনের শুরুতে বিয়ে করেন মনি কিশোর। শামীমা চৌধুরীর সঙ্গে সেই বিয়ে টেকেনি। দেড় যুগ আগে তাদের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে। বিয়ের সময় ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন মনি কিশোর। সে হিসেবে তার মরদেহের দাফন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন বড় ভাই অশোক কুমার। তবে ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রমাণাদি না পাওয়ায় ও মেয়ে নিন্তি চৌধুরীও দেশে না থাকায় সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ কর্মকর্তারাও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছিলেন না। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকালে তার মেয়ের একটি ইমেইল পেয়ে দাফনের অনুমতি দেয় প্রশাসন।
মনি কিশোর পাঁচ শতাধিক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। রেডিও-টিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী হলেও গান গেয়েছেন অল্প। সিনেমায়ও তেমন গাননি। মূলত অডিওতে চুটিয়ে কাজ করেছেন। তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে ‘কী ছিলে আমার’, ‘সেই দুটি চোখ কোথায় তোমার’, ‘তুমি শুধু আমারই জন্য’, ‘মুখে বলো ভালোবাসি’, ‘আমি মরে গেলে জানি তুমি’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।