মরিচবাতি দিয়ে ঘর সাজান, জানেন এতে কতটুকু বিদ্যুৎ খরচ হয়?

ফিচার ডেস্ক
  ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ২২:৫৪

বিয়ে, জন্মদিন বা বড় কোনো আয়োজন তো বটেই যে কোনো উৎসবেও অনেকে পুরো বাড়ি লাল, নীল বাতি দিয়ে সাজিয়ে ফেলেন। অনেকেই মরিচবাতি বা ছোট্ট ছোট্ট নানান ধরনের বাল্ব দিয়ে ঘর সাজান। কিন্তু জানেন কি, এসব বাতিতে কেমন বিদ্যুৎ খরচ হয়?
সাধারণত বাড়িতে ১০ মিটারের মতো বড় এলইডি আলোর স্ট্রিং ব্যবহার করা হয়। যে কোনো স্ট্রিংয়ের পাওয়ার খরচ নির্ভর করে এটি কত বড় এবং এতে কী ধরনের লাইট ব্যবহার করা হয়েছে তার ওপর।
সাধারণ একটি ১০ মিটার দীর্ঘ এলইডি আলোর স্ট্রিং এর শক্তি খরচ ৫-১০ ওয়াট। এর মানে তারা এক ঘণ্টায় ০.০০৫-০.০১ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে। এই এলইডি লাইটগুলো যদি দিনে ৮ ঘণ্টা জ্বলে। এভাবে প্রতিদিন ০.০৪-০.০৮ ইউনিট এবং মাসে ১.২ থেকে ২.৪ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।

মরিচবাতি বা এলইডি বাল্ব বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য বেশ জনপ্রিয়। এর বিদ্যুৎ খরচ নির্ভর করে এলইডি বাল্বের ক্ষমতার উপর। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার মরিচ বাতি ৫ ওয়াট হয় এবং আপনি প্রতিদিন গড়ে ৫ ঘণ্টা ব্যবহার করেন, তাহলে মাসিক খরচ কেমন হতে পারে তা দেখে নিন।

যদি দিনে ৫ ঘণ্টা ব্যবহার করেন মাসে ৩০ দিন। তাহলে ৫×৩০= ১৫০ ঘণ্টা। মাসে বিদ্যুৎ খরচ দাঁড়ায় ৫×১৫০ ওয়াট বা ঘণ্টা= ৭৫০ ওয়াট বা ঘণ্টা। ৭৫০÷১০০০ ইউনিট=০.৭৫ ইউনিট। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিলের বিভিন্ন স্টেপ অনুযায়ী সর্বোচ্চ বিলের হার ১২.৩ টাকা এবং সর্বনিম্ন হার ৪.৪০ টাকা। তাহলে মরিচবাতি ব্যবহারে সর্বোচ্চ মাসিক বিল দাঁড়ায়, ০.৭৫×১২.৩=৯.২২৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন মাসিক বিল দাঁড়ায় ০.৭৫×৪.৪০=৩.৩ টাকা।

তবে প্রতিটি লাইটের খরচ মোটেই সমান নয়। বিভিন্ন কোম্পানির লাইট আলাদা আলাদা ওয়াটের বিদ্যুত্ খরচ করে। পাশাপাশি সব লাইটের স্ট্রিং ১০ মিটার লম্বা হয় না। কখনো ১১ মিটার বা ১২ মিটারও হতে পারে। তার উপর নির্ভর করেও খরচ বাড়তে পারে বা কমতে পারে।