দর্শিক সোলঙ্কীর বয়স মাত্র আড়াই বছরের একটু বেশি। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর জন্ম। এই তো সেদিনের কথা। কিন্তু এই ছোট্ট শিশুটি এরই মধ্যে এমন একটি কাজ করেছে যা অনেক বড় হয়েও অনেকে করতে পারেননি এখনো। দর্শিক এরই মধ্যে বিশ্বরেকর্ড করেছে।
অসাধারণ প্রতিভা দিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে দর্শিক। মাত্র দুই বছর বয়সে, দর্শিক পৃথিবীর পতাকা এবং দেশের নামগুলো চিহ্নিত করতে শুরু করেন। তার বাবা-মা, সোলঙ্কী বিশাল এবং সোলঙ্কী প্রিয়া, কম বয়সে তার বিশেষ ক্ষমতা চিহ্নিত করে তাকে উৎসাহিত করেছিলেন।
শুরুতে দর্শিক ১০-২০টি দেশের পতাকা এবং নাম চিহ্নিত করেছিল, তবে দ্রুতই এই জ্ঞান ৫০টি দেশ থেকে ১৯৫টি দেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। দুই মাসে দর্শিক শুধু পতাকা নয়, দেশের রাজধানী সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করেন। তার এই অসাধারণ প্রতিভাকে ওয়ার্ল্ড বুক অব রেকর্ডস সম্মানিত করেছে।
স্কুলের শিক্ষকরা দর্শিককে একজন দক্ষ এবং সক্রিয় ছাত্র হিসেবে দেখেন, যে বিভিন্ন ক্ষেত্রেই দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন। দর্শিকের বাবা সোলঙ্কী বিশাল একজন স্টেশনারি ব্যবসায়ী এবং মা সোলঙ্কী প্রিয়া একজন গৃহিণী। তারা বিশ্বাস করেন যে প্রতিটি শিশুর মধ্যে অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে এবং সঠিক উৎসাহের মাধ্যমে তারা অপ্রত্যাশিত জিনিসও সম্ভব করতে পারে।
দর্শিক সোলঙ্কীর এই অসাধারণ যাত্রা প্রমাণ করে যে নিবেদন এবং সমর্থনের সঙ্গে বয়স কখনো সফলতার পথে বাধা হতে পারে না। তার গল্প শুধু অনুপ্রেরণামূলক নয়, এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, শিশুদের অনন্য প্রতিভাগুলোকে চিহ্নিত এবং বিকশিত করার গুরুত্ব কতটা। যেদিকে সব বাবা-মায়ের খেয়াল রাখা উচিত।