রাস্তায় বা খোলা ময়দানে সঙ্গীকে ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরা কিংবা চুম্বন করা বাঙালির চোখসই না হলেও অন্যান্য দেশে এটি খুব সাধারণ বিষয়। সেখানেও আমরা বাঙালিরা এটি দেখে খানিকটা নিজেই লজ্জা পাই। তবে উন্নত দেশগুলোতে এগুলো হরহামেশাই আপনার চোখে পড়বে কোনো যুগলকে জড়িয়ে ধরতে কিংবা চুম্বন করতে।
তবে জানেন কি? প্রকাশ্যে চুম্বন করা কিন্তু অনেক দেশে নিষিদ্ধ। এমনকি কাজটি করে ধরা পড়লে জেল হবে নিশ্চিত। সে দেশের নাগরিক তো বটেই আপনি পর্যটক হয়েও এই ভুলটি করলে জেলে যাওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। তাই আগে থেকেই এই সম্পর্কে জেনে রাখুন।
মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশেই জনসম্মুখে স্ত্রীকে চুম্বন করা নিষিদ্ধ। যদি কাউকে এই কাজ করতে দেখা যায়, তাহলে সেখানকার পুলিশ জরিমানাসহ জেলেও দিতে পারে। স্থানীয়রা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভাল জানেন, তবে বিদেশিরা প্রায়শই এখানে কঠোর আইনের মুখোমুখি হন। ২০০৯ সালে এক ব্রিটিশ দম্পতি দুবাইয়ের একটি পাবলিক প্লেসে চুম্বন করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। তাদের তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
শুধু তাই নয়, এখানে ট্যাক্সিতে বসে সঙ্গীকে চুম্বনের দায়ে এক ভারতীয় দম্পতিকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তাই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে গিয়ে প্রকাশ্যে এমনটি করবেন না।
এছাড়া ইন্দোনেশিয়ায় কঠোরভাবে চুম্বন নিষিদ্ধ। পাবলিক প্লেসে চুম্বন করা বা কোনো ধরনের ভালোবাসা প্রদর্শন করা এখানে নিষিদ্ধ। এতে করে ৫ বছরের কারাদণ্ড বা আড়াই কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। যেহেতু দেশটির বেশিরভাগ নাগরিক ইসলাম ধর্মের অনুসারী। এজন্য তারা কঠোরভাবেই এসব অনুশাসন মেনে চলে।
এমনকি জাপানের টোকিও তার সংস্কৃতি বা সভ্যতাকে শীর্ষে রাখে। এমন পরিস্থিতিতে পাবলিক প্লেসে চুম্বন করা বা লজ্জাজনক কাজ করার জন্য আছে কঠোর শাস্তি। শাস্তির পাশাপাশি জরিমানাও দিতে হতে পারে। সেজন্য যখনই জাপানে বেড়াতে যাবেন, মনে রাখবেন এখানকার সভ্যতা যেন আঘাত না পায়। জাপান যতটা উদার আতিথেয়তায় ততটাই সচেতন তাদের সংস্কৃতি রক্ষায়।
২০০৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পূর্ব চীনের জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিংয়ে ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে একটি রেস্তোরাঁয় একজন চীনা ব্যক্তি তার সঙ্গীকে চুম্বন করার চেষ্টা করেছিল। এ সময় তার জেল ও জরিমানা হয়েছিল। অন্যান্য দেশের মতো চীনও পাবলিক প্লেসে এ ধরনের জিনিস ঠেকাতে কঠোর নিয়ম মেনে চলে। নাটক সিনেমায় যদিও উল্টা চিত্রই দেখা যায়। তবে পর্যটক হলে আপনার এসব বিষয়ে আরও বেশি জানাশোনা এবং সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।