ফার্ম টু টেবল ধারণার ভিত্তিতে তাজা সামুদ্রিক খাদ্যপণ্য সরাসরি ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে ডক টু ডিশ নামের নিউ ইয়র্কের জেলেদের একটি প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি সমুদ্রের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন তারা। ডেইরি বা শাকসবজির ক্ষেত্রে দ্রুত তাজা পণ্য সহজে পেলেও সামুদ্রিক খাবারের ক্ষেত্রে গ্রাহকেরা এতদিন এই সু্বিধা পেতেন না। দৃশ্যপটে বদল আনতে প্রায় একশোটি মাছ শিকারের ট্রলার নিয়ে নতুন এক মিশনে নেমেছে লং আইল্যান্ডের জেলেদের সংগঠন ডক টু ডিশ। সংগঠনটির সদস্যরা বলছেন, সিফুড বা সামুদ্রিক খাবারও তাজা সরবরাহ করা সম্ভব তারা এটা দেখিয়ে দেবেন।
ডক টু ডিশের নেতৃত্ব দেয়া ক্যাসি বয়েল জানান, তাদের এই উদ্যোগ ফার্ম-টু-টেবল ধারণার সবশেষ সংস্করণ। উৎপাদিত সামুদ্রিক খাবারের বেশিরভাগই বিদেশে রপ্তানি করে থাকে অ্যামেরিকা। অন্যদিকে, নিজ দেশের গ্রাহকদের চাহিদা মেটাতে সামুদ্রিক খাবারের ৮৫ শতাংশ আমদানিও করতে হয়। এর ফলে, গড়ে অন্তত ৫ হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে গ্রাহকের পাতে পৌঁছায় এককটি সামুদ্রিক মাছ।
ডক টু ফিশের উদ্দেশ্য, সামদ্রিক খাবার আহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিউ ইয়র্কের একশো পঁচিশটিরও বেশি রেস্টোরান্টের কিচেনে তা পৌঁছে দেয়া। আর খাবারগুলো কোন জায়গা থেকে কখন আহরণ করা হয়েছে সে সম্পর্কেও তথ্য পান গ্রাহকরা।
মূল্যস্ফীতির কারণে ও মাছ ধরায় আগের চেয়ে বেশি অর্থের প্রয়োজন হওয়ায় অনেক জেলেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত চলে আসা এই পেশা ছেড়ে যাচ্ছেন।
এই সমস্যার সমাধানেও উদ্যোগী হয়েছে ডক টু ডিশ। তারা স্থানীয় জেলেদেরকে মাছের দাম ও পারিশ্রমিক বাবদ বাজার দরের চাইতে বেশি অর্থ দিয়ে থাকে। ফলে, জেলেরা বাড়তি অনুপ্রেরণা নিয়ে প্রতিদিন কাজে যোগ দেন।
ডক টু ডিশ যেসব রেস্টোরান্টে সামুদ্রিক খাবারগুলো সরবরাহ করে, তারা চালান হাতে পাওয়ার পরই ঠিক করেন সেদিন তাদের খাবারের মেনুতে কী কী থাকবে। ডক টু ডিশ এর প্রধান বয়েলের আশা, একদিন তার এই উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়বে দেশের সব প্রান্তে। তাদের সি টু টেবল মুভমেন্টের সাথে যুক্ত হবেন আরও অনেকে।