মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলোতে ইসলামিক কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যতটা সহজ, অমুসলিম দেশগুলোতে ঠিক ততটাই কঠিন। কেননা এখানকার স্কুলগুলোতে মুসলিম দিবসগুলোতে কোন ছুটি থাকে না। বছরের বড় ছুটিগুলোর মধ্যে ২o ডিসেম্বরের থেকে ৭ জানুয়ারি ক্রিসমাসের লম্বা বন্ধ। এই সময় অমুসলিম দেশগুলোতে রাষ্ট্রীয়ভাবে নানা ধরণের মেলা ও আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়। যা বাচ্চাদের তুমুল আকর্ষণ করে।
তাই স্কুল ছুটির এই সময়গুলোতে বাচ্চারা সারাদিনের একগুয়েমি কাটাতে এবং একটু আনন্দ পেতে এসব মেলা ও আলোকসজ্জা দেখতে বের হয়ে পড়ে, যা ইসলাম ধর্মে স্পষ্টভাবে নাজায়েজ বলা হয়েছে। এই কারণে ছুটির এই সময়ে আমরা সবাই বাচ্চাদের নিয়ে ইসলামিক কিছু আয়োজন করলে তাদের সময়টা আনন্দময় হয়ে উঠে এবং ইসলামিক অনুশাসন এ বেড়ে উঠার সুযোগ পায়।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সেই উপলব্ধি থেকে ব্যক্তিগত পরিসরে মাদ্রিদ এর মানসানা রিও পার্কে কুরআনের পাখিদের নিয়ে চমৎকার এক আয়োজন করা হয়।
দিনটি ছিলো আলো জ্বলমলে, আকাশ পুরোটাই নীলাভ। এই শীতের এরকম উষ্ণতা একটু বাড়তি পাওয়া। সারাদিন প্রায় বাচ্চারা তাদের অভিভাবকদের সাথে ছোট ছোট ভাই-বোনসহ মজার কিছু সময় কাটায়, আনন্দ উপভোগ করে।
পবিত্র কুরআন থেকে তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়, এরপর ইসলামিক কুইজ পর্বে অংশ নেয় বাচ্চারা, বাচ্চাদের ইমামতিতে যোহর ও আসরের সালাত আদায় করা হয়। তারপর কিছু মজার খেলাধুলা ও আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। অনুষ্ঠানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজনের সাথে ছিলো মাদ্রিদ এর 'দেশ রেস্টুরেন্ট'।
বিকেলে অভিভাবকদের নিয়ে আসা বিভিন্ন ধরণের মিষ্টান্ন ও চা পানের আয়োজন ছিল সত্যিই বাড়তি একটি আনন্দ। মাদ্রিদে বিধর্মীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান সুকৌশলে বর্জন ও ইসলামিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বাচ্চাদের ধর্মীয় পরিবেশ দেওয়া কমিউনিটির সকলের দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য।
অনুষ্ঠান শেষে সকলের হাতে শুভেচ্ছা উপহার পৌঁছে দেওয়ার মধ্য দিয়ে আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। সেই সাথে ভবিষ্যতে আবারও এমন আয়োজনে সকল অভিভাকরা পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আয়োজনে এগিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
আয়োজক কেয়া খান জানান, মাত্র ২ দিনে এমন একটি আয়োজন করা হয়েছে। অনেক অব্যবস্থাপনা থাকলেও ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে সুন্দরভাবে এমন আয়োজন চলমান থাকবে ইনশা আল্লাহ।