নীল আকাশ আর সমুদ্রের নীল জল মিশে একাকার। এ জলে পা ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯’ বিজয়ী শিরিন আক্তার শিলা। তার মাথার চুলগুলো আলগা করে ছেড়ে দেওয়া। পরনে সাদা রঙের টু-পিস। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া স্থিরচিত্রে এমন লুকে দেখা যায় শিলাকে। ছিপছিপে গড়নের শিলাকে দেখে নেটিজেনরা বলছেন— ‘জলপরী।’
সম্প্রতি ফটোগ্রাফার রিশি কাব্য শিরিন আক্তার শিলার একটি ফটোশুট করেছেন। মূলত, এই ফটোগ্রাফার ছবিগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। এসব ছবির শিরোনাম দিয়েছেন— ‘সাগরের ছায়া।’ শিরিন আক্তার শিলার এই ছবি দেখে মুগ্ধতা প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।
শিরিন আক্তার শিলার বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেছেন। তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নকালে ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। ৮ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে বিজয়ের মুকুট ছিনিয়ে নেন শিলা।
‘ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯’ জয়ী হওয়ার পরই অভিনয়ে নাম লেখাননি শিরিন আক্তার শিলা। বরং কয়েক বছর বিরতি নিয়ে এ মাধ্যমে পা রাখেন। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পায় নুহাশ হুমায়ূন পরিচালিত সিরিজ ষ–এর প্রথম পর্ব ‘এই বিল্ডিং-এ মেয়ে নিষেধ’। এতে অভিনয় করেন শিলা।
সময় নিয়ে অভিনয়ে আসার কারণ ব্যাখ্যা করে শিলা বলেন, ‘অনেকেরই নতুন আর্টিস্ট নিয়ে কাজ করার ভয় ছিল। আমিও অভিনয়ের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। এই সময়ে অভিনয়ের একটা কোর্স করি। তা ছাড়া কোভিডের সময়ও সবকিছু স্থবির ছিল। মডেলিং থেকে নতুন জায়গায় পা রাখতে ভয় পাচ্ছিলাম।’
অভিনয় নিয়ে ভয় অনেকটা কেটেছে শিলার। তা ছাড়াও ব্যক্তিগত জীবনে শিলার অনেক স্বপ্ন। এই অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘ছোটবেলা থেকেই একেক সময় একেকটা হতে ইচ্ছা করত। কখনো ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়, কখনো অভিনেত্রী, কখনোবা ইচ্ছা করে কারাতে শিখতে। এ রকম আরো অনেক কিছু। মনে হয় এখন সময় এসেছে স্বপ্নগুলো ধীরে ধীরে সত্যি করার।’
এখনো অভিনয়ে ঠিক অতটা সরব নন শিলা। অনেকটা আড়ালেই থাকেন। তবে বিভিন্ন পণ্যের মডেল হতে দেখা যায় তাকে। তা ছাড়া অন্য দেশের মিস ইউনিভার্সদের মতো সমাজসেবা করার স্বপ্নও আছে তার। ২০২২ সালে চায়ের কাপে রিকশাচিত্র করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। ২০২৩ সালে ‘চায়ের কাপে বাংলা মুখ’ শিরোনামে টিএসসির দোকানগুলোকে রঙিন করেন শিরিন আক্তার শিলা ও তার বন্ধুরা।