আজ গুড ফ্রাইডে। সারা বিশ্বের খ্রিষ্টানদের কাছে বড়দিনের পাশাপাশি এ দিনটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যিশু খ্রিষ্টকে যেদিন ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়, সেই দিনটি ছিল শুক্রবার, সেই থেকে প্রতি বছর গুড ফ্রাইডে শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে থাকেন খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা।
তাদের কাছে বছরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ দিনটি হোলি ফ্রাউডে, গ্রেট ফ্রাইডে, ব্ল্যাক ফ্রাইডে হিসেবেও পরিচিত।
যেকারণে দিনটি খ্রিষ্টানদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ
গুড ফ্রাইডেতে যিশু খ্রিষ্টকে ক্রুশে বিদ্ধ করার ঘটনা আজও সারা বিশ্বের খ্রিষ্টানদের কাছে শোকের দিন। এই দিনে খ্রিষ্টানরা উপবাস করে থাকেন। তারা যিশুর ওপর অত্যাচারের কথা স্মরণ করে শোকপ্রকাশ করেন। বাইবেল অনুসারে, গুড ফ্রাইডের দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত শোকের সময়। এই সময়ের মধ্যেই যিশু খ্রিষ্টের ওপর অত্যাচার করে তাকে ক্রুশে বিদ্ধ করা হয়।
এদিন খ্রিষ্টানরা গির্জায় গিয়ে বিশেষ প্রার্থনায় যোগ দেন। বাড়িতেও তারা শোক পালন করেন। ধর্মীয় রীতি মেনেই দিনটি পালন করা হয়।
গুড ফ্রাইডের আগের রাত থেকেই চলে ধর্মীয় আচার
ক্রুশে বিদ্ধ হওয়ার আগের রাতে যিশু খ্রিষ্ট তার অনুগামীদের সঙ্গে শেষবার যে খাবার খেয়েছিলেন, তা লাস্ট সাপার হিসেবে পরিচিত। এই সময় থেকেই খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় আচার পালন শুরু হয়। এই আচার চলে ইস্টার সানডে পর্যন্ত।
তবে খ্রিষ্টানদের সব গোষ্ঠীর মানুষ গুড ফ্রাইডে পালন করে না। ক্যাথলিক, ইস্টার্ন অর্থোডক্সের মতো গোষ্ঠীর সদস্যরা এই দিনটি ভক্তিভরে পালন করেন।
কোন দিন গুড ফ্রাইডে ও ইস্টার সানডে
প্রাচীনকাল থেকে এখনও পর্যন্ত ২০ মার্চ থেকে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে গুড ফ্রাইডে ও ইস্টার সানডে পালন করা হয়। এবারের গুড ফ্রাইডে পালন করা হচ্ছে আজ (২৯ মার্চ)। আর ইস্টার সানডে হবে ৩১ মার্চ।
প্রাচীন রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিষ্টধর্ম প্রচার শুরু করেন যিশু খ্রিষ্ট। এই ঘটনা ভালোভাবে নেননি রোমান সম্রাট। রোমান সৈন্যরা যিশুকে ক্রুশে বিদ্ধ করেন। খ্রিষ্টান ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ ও বিশ্বাস অনুযায়ী, মানবতার সব পাপ নিজের ওপর নেন যিশু খ্রিষ্ট। তার ক্রুশে বিদ্ধ হওয়া সবার পাপ বহন করার প্রতীক।