বাইকে প্রতিদিন কর্মস্থলে যাওয়া আসা করছেন। আবার যে কোনো জায়গায় ঘুরতে গেলেও সফরসঙ্গী হচ্ছে আপনার শখের বাইকটি। পাহাড় কিংবা সমুদ্র যেখানে খুশি ছুটে যাচ্ছেন বাইকটিকে সঙ্গে নিয়ে। এতো ছুটোছুটি করলেও বাইকটির যন্ত নেন না অনেকেই।
বাইকের নিয়মিত যত্ন না নেওয়ার কারণে খুব দ্রুত বাইক নষ্ট হয়ে যায় কিংবা বড় সমস্যা দেখা দেয়। শখের বাইকটি দীর্ঘদিন ভালো রাখতে কয়েকটি বিষয়ে নজর রাখুন। জেনে নিন সেসব-
১. সবার আগে ইঞ্জিন ভালো রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট দিন অন্তর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা ভীষণ প্রয়োজন।
২. নিয়মিত বাইক সার্ভিস এবং ব্রেক-সু এর মতো ছোট ছোট জিনিসের ওপর নজর রাখতে হবে। সময় মতো এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে ইঞ্জিনে খুব ছোটখাটো গাড়ির সাউন্ডের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৩. ইঞ্জিনে সামান্য কিছু সাউন্ড দেখা দিলে দ্রুত মেকানিকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক সময় বাইক সার্ভিস করা প্রয়োজন। যে কোনো গাড়ি ঠিক রাখতে হলে সঠিক সার্ভিসের প্রয়োজন।
৪. বাইকের ইঞ্জিন অয়েল সঠিক সময়ে অর্থাৎ (২-৩০০০ কিলোমিটার মধ্যে) পরিবর্তন করা উচিত। একইসঙ্গে ব্রেক-সু রিপ্লেসমেন্ট, ১২ হাজারের মধ্যে এয়ার ফিল্টার চেঞ্জ করতে হবে।
৫. নতুন বাইক হলে প্রথম ৫০০ কিলোমিটারের পর প্রথম সার্ভিসিং করা উচিত। এরপর প্রতি ৩ মাস বা ৩ হাজার কিলোমিটারের পর একবার সার্ভিসিং করিয়ে নিন।
৬. পুরোনো বাইক হলে প্রতি ৩-৪ মাস বা ২-৩ হাজার কিলোমিটারে সার্ভিসিং করা উচিত। অনেক বেশি যারা বাইক ব্যবহার করেন তারা প্রতি ২-৩ মাস বা ১ হাজার ৫০০-২ হাজার কিলোমিটারে সার্ভিসিং করাতে পারেন।
৭. চেষ্টা করুন বাইকটিকে ছায়ায় পার্ক করতে। কিংবা এমন জায়গায় পার্ক না করতে যেখানে সূর্যের তাপ পড়ছে এবং বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে। বাইকটি ঢেকে পার্ক করার চেষ্টা করুন।