বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক স্পেসওয়াকের (মহাকাশে একজন নভোচারীর মহাকাশযানের বাইরে ব্যয় করা কার্যকলাপের সময়কাল) জন্য স্পেসএক্স তার নতুন মিশন ‘পোলারিস ডন’ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। ‘পোলারিস ডন’ নামে পরিচিত এই মিশনে মোট চার জন মহাকাশচারী রয়েছেন। এটি ব্যক্তিগত খরচে প্রথম স্পেসওয়াক। ১০ সেপ্টেম্বর ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় এটি। এর জন্য ফ্যালকন-৯ রকেটের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। এটি একটি ঐতিহাসিক মিশন বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার সিভিলিয়ান (বেসামরিক নাগরিক) স্পেসওয়াক শুরু হয়। এর মাধ্যমে এই প্রথম কোনো প্রাইভেট কোম্পানি থেকে বেসামরিক নাগরিক মহাকাশে স্পেসওয়াক করছেন।
মহাকাশে থাকা অবস্থায় যখন একজন নভোচারী মহাকাশযান থেকে বের হন, তাকে বলা হয় স্পেসওয়াক। মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশযান প্রস্তুতকারক ও মহাকাশযাত্রা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটটিতে করে স্পেসওয়াকে যাওয়া নভোচারীদের কেউই পেশাগতভাবে নভোচারী নন। তাদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। শখের বশেই স্পেসওয়াকে গেছেন তারা। টিকিট কিনে পাঁচ দিনের এই যাত্রার সাক্ষী হয়েছেন মার্কিন বিলিয়নেয়ার জ্যারেড আইজ্যাকম্যান। তার সঙ্গী হয়েছেন মার্কিন বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্কট পোটিট, মিশন বিশেষজ্ঞ সারাহ গিলিস ও আনা মেনন।
পোটিট মার্কিন বিমান বাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল। গিলিস এবং মেনন দুই জনেই স্পেসএক্স ইঞ্জিনিয়ার। আইজ্যাকম্যান এবং গিলিস প্রথমবার প্রাইভেট স্পেসওয়াক করেন। এক কথায় তারা মহাকাশে হাঁটবেন। এই সময়ে ড্রাগন ক্যাপসুলের উচ্চতা থাকার কথা প্রায় ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। অ্যাপোলোর পর এটাই হতে চলেছে সর্বোচ্চ ক্রু মিশন। এছাড়া মহাকাশে স্টারলিংক ইন্টারনেটও পরীক্ষা করা হবে।