প্রতিবেশীর জুতার গন্ধ শোঁকার অপরাধে জেল

ফিচার ডেস্ক
  ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ২৩:২৭

পৃথিবীতে ৮০০ কোটির বেশি মানুষ রয়েছেন, যাদের একেকজনের শখ-ইচ্ছা একেক রকম। কারো জুতা চুরি করা নেশা, কারো আবার জুতার গন্ধ শোঁকার নেশা। তেমনই নেশা ছিল ২৮ বছর বয়সী এক গ্রিক নাগরিকের। সম্প্রতি তিনি প্রতিবেশীর বাড়িতে অনুপ্রবেশ এবং তাদের বাইরে রাখা জুতার গন্ধ শোঁকার অপরাধে জেলে গেছেন।
ঘটনাটি গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থিসালোনিকি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পশ্চিমের একটি ছোট শহর সিন্দোসের। এই শহরেই বসবাস করতেন ওই ব্যক্তি। একদিন খুব ভোরে তার এক প্রতিবেশী দেখেন তিনি ওই প্রতিবেশীর বাড়ির উঠানে ঘোরাফেরা করছেন। এবং বাইরে বাতাসের শুঁকানোর জন্য রেখে দেওয়া তাদের জুতা শুঁকছেন একটু পর পর এসে।
এমন উদ্ভট আচরণ দেখে ওই প্রতিবেশী ৯১১ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে প্রতিবেশীর বাড়িতে অনুপ্রবেশের কারণে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত এই ব্যক্তিকে তিন বছরের প্রবেশনসহ এক মাসের কারাদণ্ডের স্থগিত সাজা জারি করে।
বিশেষ কারণেই থিসালোনিকির পুলিশ ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি। তবে জানা যায় ওই ব্যক্তি এমন কাজ এই প্রথমবার করেননি। এর আগেও তিনি প্রতিবেশীদের বাড়িতে বিনা অনুমতিতেই ঢুকে পড়তেন। তাদের দরজায় বা বাড়ির ভেতরে রাখা জুতার গন্ধ নিতেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি তার অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং তার কর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি এও বলেছেন যে, সে তার কাজের মাধ্যমে কাউকে ক্ষতি করতে চায়নি। তার প্রতিবেশীরা নিশ্চিত করেছে যে, সে কখনো তাদের প্রতি হিংসাত্মক আচরণ করেনি, কিন্তু তারা তার উদ্ভট আচরণে বিরক্ত বোধ করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তি আদালতে বলেছেন, আমি ঠিক জানি না কীভাবে আমি এই কাজটি করতে এসেছি। আমার নিজেকে খুব লজ্জিত এবং হতাশ মনে হচ্ছে। তিনি স্বীকার করেছেন যে, জুতার গন্ধ নেওয়ার জন্য তিনবার তার প্রতিবেশীর বাড়িতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন।
অনেকেই বলছেন ওই ব্যক্তির মানসিক কোনো সমস্যা থাকতে পারে। এমন উদ্ভট নেশা আসলে মানসিক নানান সমস্যার কারণেই ঘটতে পারে। অনেক সময় এমন হয়, যে ব্যক্তি এমন উদ্ভট আচরণ করছেন, তা তিনি নিজেই বুঝতে পারছেন। আবার অনেকেই আছেন অবচেতন মনেই কাজটি করেন।