স্মার্টওয়াচ এখন বেশ জনপ্রিয় একটি ডিভাইস। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবার পছন্দের তালিকায় আছে এটি। শুধু যে সময় দেখা কিংবা এর নানান ফিচার আকর্ষণের কারণ তা কিন্তু নয়। ফ্যাশনেও এখন স্মার্টওয়াচ যুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার স্মার্টওয়াচ আছে বাজারে। তবে অ্যাপল ওয়াচের যেন কদরই আলাদা।
আইফোনের মতো অ্যাপলের স্মার্টওয়াচ সমান জনপ্রিয়। বেশ কয়েকটি সিরিজের অ্যাপল ওয়াচ বাজারে এনেছে সংস্থা। অনেকেই ব্যবহার করছেন নিয়মিত।
অ্যাপল ওয়াচ শুধুমাত্র একটি স্মার্ট ডিভাইস নয়, এটি স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস ট্র্যাকিংয়ের একটি অত্যাধুনিক টুল। এই স্মার্টওয়াচের বড় সুবিধা হচ্ছে আপনি আপনার ঘুমের পরিমাণ ট্র্যাক করতে পারবেন। দিনে কতক্ষণ ঘুমালেন, কতক্ষণ ঘুম প্রয়োজন। আপনার ঘুম রাতে ভালো হয়েছে কি না সবই জানাবে অ্যাপল ওয়াচ।
দেখে নিন অ্যাপল ওয়াচে ঘুমের পরিমাণ ট্র্যাক করার উপায়-
>> প্রথমে অ্যাপল ওয়াচের ঘুম ট্র্যাকিং ফিচার সক্রিয় করে নিন। হেলথ অ্যাপ ব্যবহার করে ঘুমের সময়সূচি সেট করুন। এজন্য আপনার আইফোনে হেলথ অ্যাপ খুলুন। ব্রাউজ থেকে স্লিপ অপশন নির্বাচন করুন।সেট আপ স্লিপ অপশনে ক্লিক করুন। ঘুমানোর এবং জাগার সময় নির্ধারণ করুন। উইন্ড ডাউন ফিচার চালু করুন যাতে ঘুমানোর আগে একটি রিল্যাক্সিং রুটিন তৈরি হয়।
>> ঘুম ট্র্যাকিং ফিচার সক্রিয় করুন। এজন্য অ্যাপল ওয়াচের সেটিংসে যান। স্লিপ অপশনে ক্লিক করুন। ট্র্যাক স্লিপ উইথ অ্যাপল ওয়াচ ফিচারটি চালু করুন।
>> ঘুমানোর সময় অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহার করুন। অ্যাপল ওয়াচ রাতে ব্যবহার করার আগে নিশ্চিত করুন যে ব্যাটারি পর্যাপ্ত চার্জ রয়েছে। প্রয়োজন হলে ঘুমানোর আগে সামান্য সময় চার্জ দিন। অ্যাপল ওয়াচটি ঘুমানোর সময় এমনভাবে পরুন যাতে এটি হাতের উপর আরামদায়ক থাকে এবং সঠিকভাবে সেন্সরগুলো কাজ করতে পারে।
>> ঘুমের ডেটা পর্যালোচনা করুন। পরের দিন সকালে আপনার আইফোনে হেলথ অ্যাপ খুলুন। স্লিপ বিভাগে গিয়ে ঘুমের সময়কাল এবং প্রতিটি ধাপের বিশদ বিবরণ দেখুন। মোট ঘুমানোর সময়, লাইট, ডিপ, এবং আরইএম ঘুমের ধাপ। ঘুমের সময়কার হৃদস্পন্দন এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের তথ্য দেখে নিন।
>> স্লিপ ফোকাস মোড চালু থাকলে আপনার ফোনের নোটিফিকেশন সীমিত থাকবে, যা ঘুমের ব্যাঘাত কমাবে।
>> ঘুমের তথ্যের ভিত্তিতে একটি রুটিন করতে পারেন। অ্যাপল ওয়াচ থেকে প্রাপ্ত ডাটা ব্যবহার করে আপনি আপনার ঘুমের মান উন্নত করতে পারেন। যদি আপনার ডিপ স্লিপের সময় কম থাকে, তাহলে ঘুমানোর আগে হালকা খাবার খাওয়া বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস এড়িয়ে চলুন।