বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। তবে ইউটিউব বিনোদনের চাহিদা মিটিয়ে আয়ের পথ খুলে দিয়েছে অনেক আগেই। লাখ লাখ কনটেন্ট ক্রিয়েটর এই প্ল্যাটফর্ম থেকে মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করছেন। এবার ভাষাগত বাধা দূর করতে এবং বৈশ্বিক দর্শকের কাছে আরও সহজে পৌঁছাতে ইউটিউব চালু করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর মাল্টিল্যাঙ্গুয়েজ ডাবিং সুবিধা। এর মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা একই ভিডিওতে বিভিন্ন ভাষার অডিও ট্র্যাক সংযুক্ত করতে পারবেন।
ইউটিউব তার ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে যে এই ফিচারটি বিশ্বজুড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে এই ফিচারের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে ছিলেন মিস্টার বিস্ট, মার্ক রবার, জেমি অলিভার, নিক ডিজিওভানির মত বড় বড় ক্রিয়েটররাও। একাধিক ভাষায় ভিডিও প্রকাশ করে তারা দেখিয়েছেন যে দর্শকরা কনটেন্ট দেখার জন্য এর মাধ্যমে নতুন ও সহজ বিকল্প পেতে পারেন।
এছাড়াও পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে মাল্টিল্যাঙ্গুয়েজ থাম্বনেল, যার মাধ্যমে ভিন্ন ভাষাভাষী ব্যবহারকারীর জন্য আলাদা থাম্বনেল প্রদর্শিত হবে। এই সুবিধা চালুর ফলে আলাদা ভাষাভিত্তিক চ্যানেল খোলার প্রয়োজন হবে না। নির্মাতারা একটি চ্যানেল থেকেই বিভিন্ন ভাষায় কনটেন্ট উপস্থাপন করতে পারবেন।
ইউটিউবের তথ্য অনুযায়ী, যেসব নির্মাতা ইতোমধ্যে এই ফিচার ব্যবহার করছেন, তাদের ভিডিওর দর্শক সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। জনপ্রিয় কনটেন্ট নির্মাতা মার্ক রোবার প্রতিটি ভিডিওতে প্রায় ৩০টি ভাষার অডিও যুক্ত করছেন, যার ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল থেকে শুরু করে ব্রাজিলের সাও পাওলো পর্যন্ত বিশ্বের নানা প্রান্তের দর্শক তার ভিডিও উপভোগ করছেন।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এআই-চালিত এই উদ্যোগ ইউটিউবের লোকালাইজেশন প্রক্রিয়ায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এতে নির্মাতারা ভাষার সীমা পেরিয়ে বৈশ্বিক দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারবেন, অন্যদিকে দর্শকেরাও নিজেদের মাতৃভাষায় প্রিয় কনটেন্ট দেখার সুযোগ পাবেন।