ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর হোয়াইট হাউস সফরের আগ মুহূর্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্য সংকট সমাধানে বিশেষ অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সবাই বিশেষ কিছুর জন্য প্রস্তুত। রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে দেওয়া এক পোস্টে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
‘ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আমাদের সামনে মধ্যপ্রাচ্যে মহত্ত্ব অর্জনের একটি বাস্তব সুযোগ এসেছে। সবাই প্রথমবারের মতো একটি বিশেষ কিছুর জন্য একমত হয়েছে। আমরা এটি সফলভাবে সম্পন্ন করব!!!’’
এর আগে শুক্রবার ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, আমার মনে হয় গাজা নিয়ে আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি। একই দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
তিনি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রচেষ্টা ঠেকানোর অঙ্গীকার করেন এবং হামাসের বিরুদ্ধে ‘‘কাজ শেষ করার’’ অঙ্গীকার করেন। এর কয়েক দিন আগেই ব্রিটেন, ফ্রান্সসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়।
আগামী সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে নেতানিয়াহুর।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালায় হামাস। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির তথ্য অনুযায়ী, ওইদিন হামাসের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হন; যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলের ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা এটি।
একই সঙ্গে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েল থেকে ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান। এর মধ্যে এখনো ৪৭ জন গাজায় অবস্থান করছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে অন্তত ২৫ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে, হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৫৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। হতাহতের শিকার ফিলিস্তিনিদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই তথ্যকে জাতিসংঘ নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করে।