সোশ্যাল মিডিয়ার সুবাদে ‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’ বা ‘কনটেন্ট’ শব্দটি এখন বেশ পরিচিত সর্বমহলে। স্বাধীন পেশাগুলোর এটি অন্যতম। যা দিনকে দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দেশে। আর এই পেশায় এগিয়ে আসা তরুণদের সংখ্যাই বেশি। যা ইতিবাচক হিসেবেও দেখছেন অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন প্রায় সব ধরনের কনটেন্টই পাওয়া যায়।
তবে কনটেন্ট ক্রিয়েটর বা ইনফ্লুয়েন্সারদের শুরুর পথটা এত সহজ ছিল না। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছেন তারা। বর্তমানে দেশের অর্থনীতিতেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তারা।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সার ও উপস্থাপক রাবা খান আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা যখন প্রথম শুরু করেছিলাম, তখন ইনফ্লুয়েন্সার কি সেটার খুব একটা পরিচিতও ছিল না। আমাদের পরিচয়ও করিয়ে দেওয়া হতো না ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে। বলা হতো ইউটিউবার, এন্টারটেইনার বা কনটেন্ট ক্রিয়েটর। আগে কনটেন্ট তৈরির বিষয়টি শখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল কিন্তু এখন বিষয়টি সেখানে আর নেই। এটি একটি স্বাধীন পেশায় রূপ নিয়েছে। সুন্দর একটি ব্যবসাও বলা যায় একে। আর আগামীতে দারুণ কিছুও হতে পারে এটি।’
রাবা খানের মতে, কনটেন্ট ক্রিয়েটর আর ইনফ্লুয়েন্সারের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে কনটেন্ট অনেকেই করতে পারে তবে ইনফ্লুয়েন্সারদের নামটা দেয় তার ভক্ত-দর্শকরাই। আর একজন ইনফ্লুয়েন্সার তার ফলোয়ারদের ভালোবাসা থেকেই কনটেন্ট তৈরি করে থাকেন।
বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে ইনফ্লুয়েন্সারদের বেশ সহযোগিতা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইনফ্লুয়েন্সারদের এখন অনেক সহযোগিতা করা হচ্ছে, যেটা আগে ছিল না। রেমিট্যান্স আসা থেকে শুরু করে ইনফ্লুয়েন্সারদের গুরুত্ব দেওয়া- এমন অনেক সহযোগিতাই আমরা পাচ্ছি। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘‘লেটস টক’’ অনুষ্ঠানে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে নানা বিষয় নিয়ে কথা বলতে পেরেছি। আমি এই পেশায় ১০ বছর ধরে আছি। আমি দেখেছি, এখানে অনেক পরিবর্তন আসছে আর আগামীতেও আসতে থাকবে।’