দিন হবে রাতের মতো অন্ধকার

বিশ্ব সাক্ষী হতে চলেছে এক বিরল সূর্যগ্রহনের!

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:৩১

বিশ্ব সাক্ষী হতে চলেছে এক বিরল সূর্যগ্রহণের। সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আগামী ৮ এপ্রিল পৃথিবীর মহাজাগতিক এ দৃশ্য দেখার সুযোগ হবে। ২০২৪ সালের প্রথম এ সূর্যগ্রহণ হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণে একই রেখায় থাকে চাঁদ, সূর্য ও পৃথিবী। তখন সূর্য পুরোপুরি ঘূর্ণায়মান চাঁদের পেছনে ঢাকা পড়ে যায়। এ কারণে দিনের বেলাতেই রাতের অন্ধকার নামবে পৃথিবীতে। বিভ্রান্তে নিশাচর প্রাণিরা এ সময় সক্রিয় হয়ে উঠবে।
নাসা বলছে, দীর্ঘ সাত বছর পর আবারও এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ঘটছে। বেলা ১১টা ৭ মিনিটে এ গ্রহণ শুরু হবে। গ্রহণ চলবে প্রায় ১০০ মিনিট।এই অন্ধকার পথে দুটি এলাকা থাকবে, দিন রাত হয়ে যাওয়ার অনুভূতি হবে। অন্ধকার হয়ে যাবে। তাপমাত্রা কমে যাবে। নিশাচর প্রাণী অর্থাৎ যেসব প্রাণী রাতে সক্রিয় থাকে তারা সক্রিয় হয়ে উঠবে। কিছুক্ষণ পর আবার সূর্য বেরিয়ে আসলে প্রাণীরা বিভ্রান্ত হয়ে যাবে।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে এটি। যখন চাঁদ সূর্য এবং পৃথিবীর মাঝখানে চলে তখন ঘটে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ। এই ঘটনার নেপথ্যে অন্যতম কারণ হল পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘূর্ণায়মান অন্যদিকে চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। চাঁদ যখন পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝখানে চলে যায়, তখন চাঁদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয় সূর্যের আলো। সূর্য যখন আংশিকভাবে ঢাকা পড়ে যায় চাঁদের জন্য তখন তাকে বলা হয় আংশিক সূর্যগ্রহণ। অন্যদিকে সূর্য যখন পুরোপুরি চাঁদের পেছনে চলে যায় তখন তাকে বলা হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।
গত সাত বছরে দ্বিতীয়বার এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ ঘটছে। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ বলতে সেই বিশেষ মুহূর্তকে বোঝায়, যেখানে চাঁদ কার্যতই ঢেকে দেয় সূর্যকে। এমনিতে আকারে চাঁদের চেয়ে ৪০০ গুণ বড় সূর্য। কিন্তু পৃথিবী থেকে চাঁদের যত দূরত্ব, তার চেয়ে সূর্যের দূরত্ব ঢের বেশি। তাই চাঁদ যখন পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝে অবস্থান করে, সূর্য কার্যত ঢেকে যায়। শুধু বলয়াকারে তার বাইরের আলোকমণ্ডলের পাতলা স্তরই চোখে পড়ে পৃথিবী থেকে, যা দেখে মনে হয়, চাঁদকে ঘিরে যেন ঠিকরে পড়ছে আলো। পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় পৃথিবীর উপর যে রেখা বরাবর চাঁদের ছায়া পড়ে, তাকে বলা হয় পূর্ণগ্রাসের পথ। ওই রেখা থেকেই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের গোটা প্রক্রিয়া চাক্ষুষ করা সম্ভব হয়।
নাসা জানিয়েছে, মহাজাগতিক এ দৃশ্য দেখা যাবে আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকো, পশ্চিম ইউরোপ প্যাসিফিক, আটলান্টিক, আর্কটিক, আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে।