সব অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিকে (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রন কমিশন) অনুরোধ জানাবেন বলে সংসদকে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
৭ মে (মঙ্গলবার) সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তরে সাতক্ষীরা-১ আসনের ফিরোজ আহমেদ স্বপনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
সংসদ সদস্য স্বপন তার সম্পূরক প্রশ্নে বলেন, সাংবাদিকতার পাশাপাশি অপসাংবাদিকতায় বাংলাদেশ ভরে গেছে। অনলাইন পত্রিকার নিয়মকানুন কী তা তিনি জানেন না। অনিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকায় জ্বালায় তারা অস্থির। এটা নিয়ন্ত্রণের কোনো পদক্ষেপ আছে কী না?
জবাবে প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে সরকার খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছে। বেশকিছু ভুঁইফোড় অনলাইন পোর্টাল ব্যাঙের ছাতার মতো বিভিন্ন জায়গায় গজিয়ে গেছে। তারা সাংবাকিতা নয়, অপসাংবাদিকতার চর্চা করে। অপপ্রচার করে সমাজে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি করে। যারা পেশাদারিত্বের সঙ্গে সাংবাদিকতা করেন তারাও এ ধরনের পোর্টাল ও অনলাইনভিত্তিক পত্রিকাগুলো বন্ধের দাবি করেছেন। সাংবাদিক বন্ধুরাই বলছেন- এ ধরনের অপসাংবাদিকতার চর্চা যারা করেন তারা আসলে পেশাদার সাংবাদিকদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ দাবিটি শুধু সংসদ সদস্যদের নয় বা রাজনীতিবিদ বা সমাজের অন্যান্যস্তরের জনগনের নয়, খোদ সাংবাদিক সমাজ থেকে এসেছে। তাদের থেকে দাবি এসেছে যতগুলো অনিবন্ধিত পোর্টাল আছে যেগুলো অপপ্রচার করছে, অপসাংবাদিকতা করছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য।
এজন্য তিনি কিছুদিন আগে একটি নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, একেবারে প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যম যেগুলো আছে ইলেকট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া তাদের যে নিবন্ধিত পোর্টাল আছে সেই পোর্টাল এবং এছাড়া যতগুলো পোর্টাল যেগুলো আবেদন করছে, প্রক্রিয়াধীন আছে- তার পুরো লিস্ট বিটিআরসিকে পাঠানো হবে। এর বাইরে যতগুলো অনলাইন পোর্টাল আছে, এমনকি যারা একটা আবেদনও করেনি, তাদেরকে বন্ধ করে দেয়ার জন্য (বিটিআরসিকে) অনুরোধ জানানোা হবে বলে জানান তিনি।