এআই মানুষের জীবনে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। সব কাজেই এআই আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। সে হোক রান্নার রেসিপি কিংবা চাকরির সিভি সবই লিখে দিতে পারবে এআই। এআই ইন্টেলিজেন্সি রোবট দিয়ে এখন কত কিছুই না করা হচ্ছে। নিউজ প্রেজেন্টার থেকে শুরু করে স্কুলে পড়ানো, অফিসের কাজ সবই।
এআই দিয়ে চমৎকার ছবি ভিডিও তৈরি করা যায়। যা দেখে বিভ্রান্ত হতে বাধ্য হবেন। কারণ এতোটাই বাস্তব লাগে সেগুলো। হোক কোনো ফটোগ্রাফি কিংবা হাতে আঁকা ছবি সবই করে দিতে পারে এআই। তবে সাধারণ চোখে দেখলে যেটিকে নিখুঁত বা বাস্তব মনে হবে একটু খেয়াল করলেই ছবির খুঁত বের করতে পারবেন।
বর্তমানে এআই যতটা না উপকার হচ্ছে অপরদিকে ক্ষতিও হচ্ছে খানিকটা। অনেকেই এআইয়ের অপব্যবহার করছেন। বিশেষ করে এর ভুক্তোভুগী হচ্ছেন নারীরা। এআইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি ভিডিও তৈরি করে তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ইন্টারনেটে।
খুব সহজে এআই তৈরি ছবি চেনা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে খুব সহজেই আপনি বুঝবেন এটি এআইয়ের তৈরি ছবি কি না-
১. এআই-জেনারেটেড ইমেজ শনাক্ত করার সবচেয়ে সহজ এবং সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো একটি রিভার্স ইমেজ সার্চ ব্যবহার করা। গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ, টিনআই, বা গুগল বার্ডের মতো টুল একটি ছবি আপলোড বা লিঙ্ক করতে এবং ওয়েব জুড়ে একই ধরনের ছবি সার্চ করতে দেয়। ছবির একাধিক সংস্করণ খুঁজে পাবেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
২. এআই তৈরি ছবি শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে টেক্সচার। এআই সিস্টেমগুলো বিশেষ করে পুরোনো বা কম উন্নত। প্রায়শই ত্বক, চুল এবং ফ্যাব্রিকের মতো জটিল টেক্সচারগুলো সঠিকভাবে রেন্ডার করার সঙ্গে লড়াই করে। একটি চিত্র পরীক্ষা করার সময় এই টেক্সচারের অসঙ্গতিগুলো সার্চ করা উচিত।
৩. এআই তৈরি ছবিতে প্রায়শই ছোটখাটো অসঙ্গতি থাকে। উদাহরণস্বরূপ, ইমেজের আলো সব বস্তু বা বিষয়ের মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ না-ও হতে পারে। ইমেজের ছায়াগুলি অপ্রাকৃত দিক বা হাইলাইটগুলিতে পড়ে, যা সামগ্রিক আলোর উৎসের সঙ্গে মেলে না। আর একটি সাধারণ অসঙ্গতি হল প্রতিফলন বা প্রতিসরণে, যেখানে আলো কীভাবে জল, কাচ বা ধাতুর মতো পৃষ্ঠতলের সঙ্গে পরস্পরের উপর ক্রিয়া করে।
৪. এক্ষেত্রে শরীরের অঙ্গ, বিশেষ করে হাত, চোখ এবং কান এসব খেয়াল করুন। যেখানে এআই তৈরি ছবিগুলো বিকল হতে পারে। যেমন একজন ব্যক্তির অনেকগুলো আঙুল, অনিয়মিত আকারের হাত, বা চোখগুলো সামান্য মিসলাইন করা থাকতে পারে। দাঁত অদ্ভুত প্যাটার্নে প্রদর্শিত হতে পারে, বা কান বাঁকা হতে পারে।
৫. এআই-জেনারেটেড ছবিগুলো আসল ছবির তুলনায় সাধারণত এলোমেলো হয় এবং এতে অপূর্ণতার অভাব থাকতে পারে। যেমন-ব্যাকগ্রাউন্ডগুলো খুব মসৃণ দেখাতে পারে, বা কাপড় বা দেওয়ালের প্যাটার্নগুলো খুব অভিন্ন দেখাতে পারে।
এআই গয়না, পোশাকের প্যাটার্ন বা জটিল ডিজাইনের মতো রেন্ডারিং বস্তুর সঙ্গে লড়াই করতে পারে। যার ফলে প্রায়শই ঝাপসা বা অত্যধিক তীক্ষ্ণ অংশ হয়। যা স্বাভাবিক ভাবে বাকি ইমেজের সঙ্গে মিশে যায় না।
৬. এআই-জেনারেট করা ইমেজ প্রায়ই পরিপূর্ণ বা নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করে। এটাই কিন্তু চিহ্নিত করার অস্ত্র হতে পারে। আসলে বাস্তব জীবনে নিখুঁত প্রতিসাম্য, ত্রুটিহীন ত্বক এবং আদর্শ অনুপাত অত্যন্ত বিরল। খুব নিখুঁত দেখায় এমন একটি ইমেজ, একটি চিহ্ন হতে পারে।