এক মাসে ১৬৬৭ পর্ন ও ৫৬০ জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ

প্রযুক্তি ডেস্ক
  ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:০৩

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এক মাসে এক হাজার ৬৬৭টি পর্ন ও ৫৬০টি জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক মাসে দুই মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম এবং ১০০ দিনের কর্মসূচি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান উপদেষ্টা।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের নেওয়া কার্যক্রমের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, চিঠিপত্র ও পার্সেল, ডকুমেন্টস গ্রাহক সেবা সহজীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেজন্য অনলাইন বুকিং অ্যাপস প্রস্তুত করা হয়েছে। এ অ্যাপসের মাধ্যমে প্রত্যেক গ্রাহক ঘরে বা অফিসে বসে যেকোনো সময় পার্সেল বা ডকুমেন্টস বুকিং করতে পারবেন।
তিনি বলেন, প্রথমে এসে বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হওয়ার তদন্ত কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেয়েছিলাম। আজ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে। বর্তমানে কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের কাজ চলছে। একইভাবে ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত এ বিভাগের সব উন্নয়ন প্রকল্প মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা চলছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থায় এক হাজার ৬৬৭টি পর্ন ওয়েবসাইট এবং ৫৬০টি জুয়ার ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়েছে। ম্যালওয়্যার ছড়ায় এরূপ সাইটে প্রবেশগম্যতা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
টেলিটকের নেটওয়ার্ক কাভারেজ এবং পরিসেবা সম্প্রসারণ উন্নয়নের মাধ্যমে সেবার পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রস্তাবিত ইউনিয়ন পর্যন্ত ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে সব প্রক্রিয়া শেষ করে অতি শিগগির আইএফটি জারি করা হবে।
আইসিটি বিভাগের বিষয়ে তিনি বলেন, হাইটেক পার্কের নাম পরিবর্তন হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগগুলো তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিবেচনা করছি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মুশফিকুর রহমান বলেন, বেশ কিছু বকেয়া টেলিফোন অপারেটরদের কাছে আছে। আমাদের ১০০ দিনের কর্মসূচির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেকোনো মূল্যে আমরা বকেয়া আদায় করতে চাই। আমরা একটা ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে অন্তত পক্ষে কিছু পরিমাণ হলেও আদায় করতে ব্যবস্থা নেবো।
কলড্রপ নিয়ে এক প্রশ্নে টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, কলড্রপ দীর্ঘ দিনের একটি সমস্যা। গ্রাহকেরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। সীমিত পর্যায়ে যাতে আনা যায় এবং জনগণকে ভোগান্তি থেকে মুক্ত রাখা যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ আছে।