প্রতিদিন বাংলাদেশকে রেকর্ড সংখ্যক ভিসা দিচ্ছে সৌদি আরব। দিনে চার হাজার থেকে ছয় হাজার বাংলাদেশীকে ভিসা দেয়া হচ্ছে, গত ৫৩ বছরের মধ্যে কখনো এত ভিসা দিতে দেখা যায়নি। গত মাসে ৮৩ হাজার বাংলাদেশীকে কাজ করার ভিসা দিয়েছে সৌদির সরকার। এটিও রেকর্ড। কারণ এর আগে কখনো এক মাসে এত বাংলাদেশীকে ভিসা দিতে দেখা যায়নি। সৌদি আরব তাদের উচ্চাভিলাষী ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মেগা প্রকল্পগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। দেশটি ২০৩৪ সালে ফিফা বিশ্বকাপ এবং ২০৩০ সালে রিয়াদ এক্সপোর মতো হাই-প্রোফাইল ইভেন্ট আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি বিমানবন্দর, রেলপথ এবং স্পোর্টস স্টেডিয়ামের মতো বিশাল অবকাঠামো প্রকল্পও হাতে নিয়েছে।
এসব উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য বৈচিত্র্যময় শ্রমশক্তি প্রয়োজন হচ্ছে। সৌদি আরবের শ্রমশক্তির একটি বড় অংশ বাংলাদেশ থেকে আসছে। বাংলাদেশের প্রতি সৌদি আরবের আন্তরিকতার উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি দেশটি ৩৭২ টন গোস্ত দান করেছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই গোস্ত দেশের ৬৪টি জেলার ৯৫টি অঞ্চলে এতিমখানা, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিতরণ করা হবে। বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের এই সহযোগিতা উভয় দেশের জন্যই ফলপ্রসূ। বাংলাদেশ প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক শ্রমিক রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, যা দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে।
অন্যদিকে, সৌদি আরব তাদের উন্নয়ন প্রকল্প ও আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় শ্রমশক্তি পাচ্ছে। সৌদি সরকারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বন্ধুপ্রতিম বাংলাদেশের প্রতি শুভেচ্ছা ও সৌজন্যবশত এ দেশের কর্মীদের জন্য দুয়ার খুলেছে দেশটি। বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে সম্প্রতি বাংলাদেশের সরকারকে ৩৭২ টন গোস্ত দান করেছে রিয়াদ। বাংলাদেশের বিভিন্ন এতিমখানা এবং মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়েছে সেই গোস্ত। সূত্র : গালফ নিউজ