আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় আল কায়েদার প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন। রবিবার ড্রোনের হামলার মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়েছে, এমন দাবিই করেছে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। বাইডেন প্রশাসনও জানিয়েছে এটা কয়েক মাসের পরিকল্পনার ফল।
এ বিষয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। যেখানে জাওয়াহিরি হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সারাংশ তুলে ধরা হয়েছে।
সিএনএন জানায়, চলতি বছরের এপ্রিলে প্রথম বারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, কাবুলে নিরাপদ আবাসে আছেন জাওয়াহিরি। গোয়েন্দারা তার স্ত্রী, কন্যা এবং তার সন্তানদেরও চিহ্নিত করতে পেরেছে।
এরপর জাওয়াহিরি বাড়ির অবস্থান ও প্যাটার্ন শনাক্ত করে তাকে নজরদারিতে রাখে মার্কিন গোয়েন্দারা। পহেলা জুলাই জাওয়াহিরির বিষয়ে সব তথ্য জমা করে হোয়াইট হাউজের বিশেষ কক্ষে তা পর্যবেক্ষণ করা হয় এবং প্রস্তাবিত অপারেশনের বিষয়ে ব্রিফ করা হয়।
সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস, জাতীয় গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালন আভরিল হাইনেস, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ও তার সহকারী জন ফিনার এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি উপদেষ্টা শেরউড র্যান্ডাল এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এই অভিযানে বেসামরিক নাগরিকদের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো এবং জাওয়াহিরির পরিবারের সদস্যরা যাতে হতাহত না হন সেই বিষয়েও নজর রাখা হয়েছিল বলে দাবি করেছে বাইডেন প্রশাসন ও মার্কিন গোয়েন্দারা।
সিএনএনের প্রতিবেদন বলছে, বাইডেন চেয়েছেন অন্যদের কোনরকম ঝুঁকিতে না ফেলে এই আল কায়েদা নেতাকে হত্যা করতে।
২৫ জুলাই আসে চূড়ান্ত ব্রিফিং, ঠিক এর পাঁচ দিন পর জাওয়াহিরির কাবুলের সেই ‘নিরাপদ’ বাড়ির বেলকোনি লক্ষ্য করে দুটি হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে মার্কিন গোয়েন্দারা। স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ১৮ মিনিটের এই হামলায় জাওহারি নিহত হন বলেই দাবি করেছে মার্কিন গোয়েন্দারা। তাদের যাচাই-বাছাই করা তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই সোমবার আল কায়েদার সর্বোচ্চ নেতাকে হত্যার ঘোষণা দেন বাইডেন।